Ads Area


সপ্তম শ্রেণীর বাংলা || গাধার কান (শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর || Gadhara kan Questions And Answers

গাধার কান
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ আমরা শেয়ার করবো সপ্তম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্য বই থেকে গাধার কান গল্পটি। এই গল্পের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দিলাম যা তোমাদের সুবিধার্থে জন্য, লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় লেখা গল্প গাধার কান। এই গল্পের প্রশ্ন উত্তর তোমাদের আর খুঁজে সময় নষ্ট করতে হবে না, নিচের পোস্টে দেওয়া হলো। তোমরা এই প্রশ্ন উত্তর ভালো করে পড়ে নিতে পারো।


সপ্তম শ্রেণীর  বাংলা || গাধার কান (শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর || Gadhara kan Questions And Answers


সপ্তম শ্রেণীর  বাংলা || গাধার কান (শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর || Gadhara kan Questions And Answers


১) "শহরের মধ্যে বেশ একটু সাড়া পড়ে গেছে।" -এই 'সাড়া পড়ার' কারণ কী?

উত্তর: 'সাড়া' শব্দটির অর্থ হল 'চাঞ্চল্য' বা 'শোরগোল'। শহরের দুটি স্কুল- টাউন স্কুল আর মিশন স্কুলের মধ্যে ফাইনাল ফুটবল ম্যাচ। দুই দলের মধ্যে এত রেষারেষি যে আগে থেকে অনুমান করা যায় না, কোন্ দল কাপ জিতবে। সব মিলিয়ে এই দুই দলের খেলা শহরের মানুষের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণের বিষয়। তাই এ বছরেও ওই দুই দলের মধ্যে ফুটবল ম্যাচ ঘিরে বেশ শোরগোল পড়ে গেছে। পাঁচটা থেকে ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিকেল চারটের মধ্যেই মাঠে লোক জমতে আরম্ভ করেছে।

২) "এই দুই স্কুলের ছেলেদের মধ্যে চিরকালের রেষারেষি"-কোন্ দুই স্কুলের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: এই দুই স্কুল বলতে টাউন স্কুল আর মিশন স্কুলের কথা বলা হয়েছে। 

৩) "হিঃ-হিঃ-তুক্ করা হলো না" বক্তা কে? কাকে সে একথা বলেছে? কখন বলেছে?

উত্তর: শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'গাধার কান' শীর্ষক গল্প থেকে নেওয়া উদ্ধৃতিটির বক্তা হল টাউন স্কুলের রোগা-পটকা ফুটবল খেলোয়াড় টুনু।  টাউন স্কুলের হাফ-ব্যাক খেলোয়াড় সমরেশকে সে এ কথা বলেছে।

 মিশন স্কুল ও টাউন স্কুলের মধ্যে ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ শুরু হওয়ার সামান্য আগে সমরেশ যখন পায়ে অ্যাঙ্কলেট আঁটতে আঁটতে গাধা না পেয়ে তার কান মলতে না পারায় খেলার ফল নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিল, তখন টুনু হাসতে হাসতে প্রশ্নে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছিল।

৪) গল্পে ফুটবল খেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু শব্দ রয়েছে, যেমন-হাফ- ব্যাক, রাইট-ইন, গোলকিপার, সেন্টার ফরোয়ার্ড, ব্যাক-এরিয়া, ইত্যাদি। আরও কিছু শব্দ তুমি গল্প থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো। এ ছাড়াও, নিজস্ব কিছু সংযোজনও করতে পার।

উত্তর: প্রশ্নে উদ্ধৃত শব্দগুলি ছাড়া আরও কিছু শব্দ হল: কর্নার, ফাউল, অফসাইড, পেনাল্টি কিক, হাফ-ভলি, বাইসাইকেল কিক, ইয়োলো কার্ড, রেড কার্ড, ট্রাইব্রেকার, লাইন্সম্যান, রেফারি, হ্যান্ডবল ইত্যাদি।

৫) টাউন স্কুলের ক্যাপটেনের নাম কী ছিল?

উত্তর: টাউন স্কুলের ক্যাপটেনের নাম ছিল গিরীন।

৬) "সমরেশদা কোথায় গেছে?"-সমরেশদা কে?

উত্তর: সমরেশদা হল টাউন স্কুলের হাফ-ব্যাকে খেলা ফুটবলার।

৭) "তুক্ কীসের পানুদা?" -পানুদা কে? 

উত্তর: পানুদা অর্থাৎ প্রণব ছিল টাউন স্কুলের একজন খেলোয়াড়।

৮) গাধার কান মলতে কে গিয়েছিল?

উত্তর: গাধার কান মলতে গিয়েছিল সমরেশ।

৯)"সমরেশ তুক্ করতে গেছে।"-কে কথাটা বলেছিল?

 উত্তর: কথাটা বলেছিল টাউন স্কুলের প্রণব।

১০) "সমরেশ বিষণ্ণ মুখে জার্সি পরতে লাগল।"- সমরেশ কেন বিষয় হয়েছিল?

 উত্তর: ম্যাচের আগে গাধার কান মলতে না পারার জন্য সমরেশ বিষয় হয়েছিল।

১১) তুক করার কথা শুনে টুনুর হাসির কারণ কী?

উত্তর: টুনুর মনে কোনোরকম অন্ধ বিশ্বাস বা কুসংস্কার নেই। তাই সমরেশ, প্রণবরা যখন গাধার কান মলতে না পারার জন্য বিমর্ষ হয়ে পড়েছে এবং ম্যাচ জেতার আশা একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছে, তখন বড়োদের এই কুসংস্কার দেখে টুনু হেসে ফেলেছিল।

১২)"সকলের মুখেই বিপদের ছায়া পড়ল।" -এর কারণ কী লেখো।

উত্তর: মিশন স্কুলের সঙ্গে খেলার আগে টাউন স্কুলের ছেলেরা যখন তৈরি হচ্ছিল, সেই সময় জানা যায় টাউন স্কুলের সমরেশ গিয়েছে গাধার সন্ধানে। গাধার কান না মললে খেলায় হেরে যেতে হবে-এটাই টাউন স্কুলের অধিকাংশের বিশ্বাস। কিন্তু সমরেশ হন্তদন্তভাবে ফিরে এসে জানায় যে, গহরে কোথাও কোনো গাধা নেই। ঘাটে, মাঠে, ধোপার বাড়িতে সর্বত্রই গাধা যেন লোপাট হয়ে গেছে। এ কথা শুনেই খেলায় হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় সকলের মুখে বিপদের ছায়া নেমে আসে।

১৩) সমরেশ গাধার খোঁজে কোথায় কোথায় গিয়েছিল?

উত্তর: সমরেশ গাধার খোঁজে সারা শহর ঘুরে বেরিয়েছিল। ঘাটে, মাঠে, ধোপার বাড়িতে কোথাও খুঁজতে বাকি রাখেনি। কিন্তু গাধা শেষপর্যন্ত খুঁজে পায়নি।

১৪) "সমরেশ বিষন্ন মুখে জার্সি পরতে লাগল।" - উদ্ধৃতিটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? সমরেশ কে? তার বিষন্নতার কারণ কী?

উত্তর: শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'গাধার কান' গদ্যাংশ থেকে উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছে।

 সমরেশ হল টাউন স্কুলের একজন হাফ-ব্যাক খেলোয়াড়। এ ছাড়া সে টাউন স্কুলের অন্যতম ভরসা।

সমরেশ খেলোয়াড় হলেও তার মন ছিল কুসংস্কারাচ্ছন্ন। দলের বিভিন্ন খেলোয়াড়দের মতো তারও বিশ্বাস ছিল যদি খেলার আগে 'তুক' হিসেবে গাধার কান মলে দেওয়া যায় তাহলে খেলায় জয় সুনিশ্চিত। এই ধারণা নিয়ে সে বেলা একটা থেকে বেরিয়ে মাঠ, ঘাট, এমনকি ধোপার বাড়ি গাধা খুঁজে বেড়িয়েছে কিন্তু কোথাও গাধা দেখতে পায়নি। এমনকি একটি গাধার বাচ্চাও দেখতে পায়নি, অর্থাৎ গাধার কান তার মলা হয়নি। সেকারণে খেলায় হার সুনিশ্চিত জেনে তার মন বিষন্নতায় ভরে ওঠে।

১৫) "শহরের মধ্যে বেশ একটু সাড়া পড়ে গেছে।" -উদ্ধৃতিটি কার লেখা এবং কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? কী জন্য সাড়া পড়ে গেছে? 

উত্তর: উদ্ধৃতিটি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'গাধার কান' গদ্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে।

 একটি ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে শহরের মধ্যে সাড়া পড়েছে। খেলাটি টাউন স্কুল ও মিশন স্কুলের মধ্যে। প্রত্যেকেই জিততে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দুই দলেই রয়েছে বেশ ভালো খেলোয়াড়েরা। তাই শহরের লোকের কাছে এটি একটি উত্তেজনা ও আকর্ষণের বিষয় হয়ে উঠেছে। ম্যাচকে কেন্দ্র করে একটা শোরগোল পড়ে গেছে। তাই পাঁচটা থেকে ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা হলেও চারটের মধ্যেই মাঠে দর্শক জমতে শুরু করেছে।

১৬) "...শুনলে এত রাগ হয়।" -কী শুনলে রাগ হয়?

উত্তর: সবকথাতেই টুনুর হাসি শুনলে রাগ হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

১৭)"এই সময় মাঠে রেফারির বাঁশি বেজে উঠল।" -রেফারিটি কে? বা, টাউন স্কুলের সঙ্গে মিশন স্কুলের ফুটবল ম্যাচে কে রেফারি ছিলেন?

উত্তর: রেফারিটি ছিলেন দিব্যেন্দুবাবু।

১৮) রেফারি দিব্যেন্দুবাবু কাদের জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন?

উত্তর: ম্যাচের আগে যে দল তাঁকে জিলিপি খাওয়ায় তাদেরই দিব্যেন্দুবাবু জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

১৯) টুনুর কোন্ পায়ের আঙুলে চোট লেগেছিল?

উত্তর: টুনুর ডান পায়ের বুড়ো আঙুলে চোট লেগেছিল।

২০) টাউন স্কুল ও মিশন স্কুলের খেলায় প্রথম গোলটি কোন দল দিয়েছিল? 

উত্তর: প্রথম গোলটি দিয়েছিল মিশন স্কুল।

২১) "দিব্যেন্দুবাবু যে জিলিপি খায়।"-কে একথা বলেছিল? দিব্যেন্দুবাবুর জিলিপি খাওয়ার বিষয়টি উল্লেখের কারণ কী?

উত্তর: টাউন স্কুলের টুনু এই কথাটি বলেছিল।

 স্কুলের ছেলেরা সকলেই জানত যে, দিব্যেন্দুবাবু জিলিপি খেতে খুব ভালোবাসেন। ম্যাচের আগে যে পক্ষ তাঁকে জিলিপি খাওয়ায় তিনি তাদেরকেই জেতানোর চেষ্টা করেন। মিশন স্কুলের ছেলেরা নিশ্চয়ই তাকে পেট ভরে জিলিপি খাইয়ে দিয়েছে ভেবে টাউন স্কুলের ছেলেরা মুষড়ে পড়ে।

২২) "এই সময় মাঠে রেফারির বাঁশি বেজে উঠল।" -রেফারিটির পরিচয় দাও।

উত্তর: শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত 'গাধার কান' গদ্যাংশে রেফারি হলেন দিব্যেন্দুবাবু। দিব্যেন্দুবাবু মানুষ হিসেবে ভালো তবে তাঁর একটা দোষ হল তিনি ভীষণ জিলিপির ভক্ত। তাই যে দল তাকে পেট ভরে জিলিপি খাওয়ায় তাদের তিনি জিতিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এই গল্পেও প্রথমার্ধে তাঁর সেই মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে। টুনুকে ফাউল করলেও টাউন স্কুলকে তিনি ন্যায্য পেনাল্টি দেননি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে টাউন স্কুলের খেলোয়াড় টুনুর দেওয়া আশ্চর্য গোলকে তিনি অস্বীকার করতে পারেন না। খেলার নিয়মানুযায়ী তাঁকে চলতে হয়েছে এবং টাউন স্কুলের দেওয়া চারটি গোল তিনি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন।

২৩)"আর গাধা খুঁজে বেড়াতে হবে না।" -গল্পে কীভাবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গিয়েছে?

উত্তর: 'গাধার কান' গল্পের একটা বড়ো অংশ জুড়ে রয়েছে কুসংস্কার। টাউন স্কুলের ছেলেদের বিশ্বাস ছিল যে তারা যদি গাধার কান মলে খেলতে নামে তাহলে তাদের জয় অনিবার্য। কিন্তু খেলোয়াড় সমরেশ অনেক চেষ্টা করেও গাধার কান মলতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে আসে। দলের এক কনিষ্ঠ সদস্য টুনু এই খবর শুনে হাসে। অন্য সদস্যরা ধরেই নেয় যে তারা সেদিন হারবে।

কারণ তারা গাধার কান মলতে পারেনি। এদিকে টুনুর হাসিতে বিরক্ত হয়ে সমরেশ টুনুর কান ধরে মলে দিয়েছিল। ইতিমধ্যে রেফারি দিব্যেন্দবাবুর বাঁশি বেজে ওঠে, খেলা শুরু হয়। প্রথমে টাউন স্কুল গোল খেলেও টুনু কিন্তু তার মনোবল হারায়নি। বুড়ো আঙুলে প্রচন্ড আঘাত পেলেও টুনু নিজের আত্মবিশ্বাস ও প্রবল মনের জোরে কয়েকটা গোল দেয় এবং রণজিৎকে দিয়ে গোল করায়। নিজের দলের দক্ষতার ওপর আস্থা রেখে আর পরিশ্রমকে সম্বল করে টুনু নিজের দলকে জেতায়।

এটা থেকে প্রমাণিত হয় যে সত্যিকারের দক্ষতা আর পরিশ্রম দলকে জয় এনে দিতে পারে। গল্পের শেষে শানু ইয়ার্কি মেরে টুনুকে গাধা হিসাবে কল্পনা করে হাসির ছলে বলেছিল "বেশ হয়েছে। এবার থেকে টুনুর কান মলে খেলতে নামলেই চলবে। আর গাধা খুঁজে বেড়াতে হবে না।" তবে ক্যাপটেন গিরীনের কথায় "আজ টুনুই আমাদের হিরো।"

২৪) টুনুর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উত্তর: টুনু টাউন স্কুলের একজন অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়-রাইট ইন পজিশনে খেলে। সে অত্যন্ত ক্ষীণ চেহারার এক বাচ্চা ছেলে, অর্থাৎ টুনু খুব রোগা। এই বছরই সে তাদের স্কুল টিমের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছে। কম বয়সি হলেও সে কিন্তু টিমের বড়োদের মতো কুসংস্কারের কাছে নিজেকে সমর্পণ করেনি। নিজের খেলোয়াড়ি দক্ষতা, প্রবল প্রচেষ্টা, মানসিক জোরকে সঙ্গী করে সে মাঠে লড়াই চালিয়ে গেছে। ম্যাচ শেষে দেখা গেছে, বিপক্ষের  জালে টুনু তিনবার বল পাঠিয়েছে, একবার রণজিৎকে দিয়েও গোল করিয়েছে। এভাবে দলকে জিতিয়ে সে অন্ধবিশ্বাসকে হারিয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ো- 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area