Ads Area


সপ্তম শ্রেণীর বাংলা || কার দৌড় কদ্দূর (শিবতোষ মুখোপাধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর || Kara Daura Kaddura Questions And Answers

কার দৌড় কদ্দূর
(শিবতোষ মুখোপাধ্যায়) 

প্রিয় ছাত্র ছাত্রী,

আজ আমার সপ্তম শ্রেণীর বাংলা বই থেকে কার দৌড় কদ্দূর এই প্রবন্ধটির সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে এসেছি তোমাদের জন্য। লেখক শিবতোষ মুখোপাধ্যায় লেখা প্রবন্ধ কার দৌড় কদ্দূর থেকে নিচে প্রশ্নপত্র দিলাম যা তোমাদের পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ,তাই আর সময় নষ্ট না করে প্রশ্ন ও উত্তর ভালো করে পড়ে নাও।

সপ্তম শ্রেণীর বাংলা || কার দৌড় কদ্দূর (শিবতোষ মুখোপাধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর || Kara Daura Kaddura Questions And Answers


সপ্তম শ্রেণীর বাংলা || কার দৌড় কদ্দূর (শিবতোষ মুখোপাধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর || Kara Daura Kaddura Questions And Answers


 ১)অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায় এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখো।

উত্তর: অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায় এমন দুটি প্রাণী হল অ্যামিবা ও প্যারামোসিয়াম।

২)"শামুক চলে যাবার সময় রেখে যায় জলীয় চিহ্ন"-সেটি আসলে কী?

উত্তর: শামুকের চলার পথে রেখে যাওয়া জলীয় চিহ্ন আসলে তাদের শরীর থেকে ক্ষরিত একপ্রকার রস যা তাদের চলার পথ পিচ্ছিল করে তুলতে সাহায্য করে।

৩) "আমাদের নিজেদের শরীরের মধ্যে একরকম ভবঘুরে সেজ আছে।'-সেলটিকে 'ভবঘুরে' বলা হয়েছে কেন?

 উত্তর: 'ভবঘুরে'র অর্থ হল বিনা কাজে যে সর্বত্র ঘুরে বেড়াতে পারে। রক্তের স্বেতকণিকা নামক সেলটি যেহেতু শরীরের মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য যে-কোনো জায়গায় যেতে পারে তাই তাকে 'ভবঘুরে' বলা হয়েছে।

৪) "নানা জাতের খরগোশের মধ্যে গতির তারতম্য দেখা যায়'- কয়েকটি খরগোশের জাতির নাম লেখো।

উত্তর: মেরু খরগোশ, আলাঙ্কা খরগোশ, তুষার খরগোশ, কালো লেজ খরগোশ, মাঙ্গুরীয় খরগোশ, ভারতীয় খরগোশ প্রভৃতি হল খরগোশের বিভিন্ন জাতির নাম।

৫) "কোনো কোনো পতঙ্গ উড়বার সময় তাদের ডানা প্রচন্ড জোরে নাড়ে।"-তোমার চেনা কয়েকটি পতঙ্গের নাম লেখো। তাদের ছবি সংগ্রহ করে খাতায় লাগাও।

উত্তর: ফড়িং, প্রজাপতি, উচ্চিংড়ে, মথ, মশা প্রভৃতি হল এই জাতীয় পতঙ্গ।

৬) "কত সামুদ্রিক জীব গা ভাসিয়ে মাইলের পর মাইল পাড়ি দেয় তার হিসাব আমরা রাখি না।"-কয়েকটি সামুদ্রিক জীবের নাম লেখো। 

উত্তর: কয়েকটি সামুদ্রিক জীবের নাম হল অক্টোপাস, জেলিফিস, তিমি, হাঙর, সিল প্রভৃতি।

৭) "রক্ষে এই যে..."-লেখক কোন্ বিষয়টিকে সৌভাগ্য বলে মনে করেছেন এবং কেন?

উত্তর: আরির্ভাবের পর থেকে অ্যামিবা আজও শ্লথ গতিতে এগিয়ে চলেছে, কখনও তার চলা থামায়নি-এই বিষয়টিকে লেখক সৌভাগ্য বলে মনে করেছেন, কারণ চলাই জীবন, থেমে যাওয়ার অর্থ মৃত্যু বা ধ্বংস। 

৮) প্যারামোসিয়াম কীভাবে চলাফেরা করে?

উত্তর: অ্যামিবার মতোই একটি এককোশী জীব প্যারামোসিয়াম-এর সেলের চারদিকে ছোটো ছোটো চুলের মতো অসংখ্য গমনাঙ্গ থাকে। এই গমনাঙ্গগুলিকে সিলিয়া বলা হয়। এইসব সিলিয়ার যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে প্যারামোসিয়াম জলের মধ্যে হাজার দাঁড়ে নৌকা চালানোর মতো এগোতে বা পিছোতে পারে।

৯) প্যারামোসিয়াম ছাড়া দুটি এককোণী জীবের নাম লেখো।

 উত্তর: প্যারামোসিয়াম ছাড়া দুটি এককোশী জীবের নাম হল অ্যামিবা ও ডায়াটম।

১০) "তার চলাফেরার ভঙ্গিটি বড়ো মজার।'-কার চলার ভঙ্গির কথা বলা হয়েছে? তা 'মজার' কীভাবে?

উত্তর: এখানে অ্যামিবার চলার ভঙ্গির কথা বলা হয়েছে।

অ্যামিবা নিজের দেহ বা সেল থেকে খানিকটা অংশকে ক্ষণিকের পা হিসেবে এগিয়ে দেয়, তারপর সেইদিকে সেলের মধ্যেকার প্রোটোপ্লাজমের বাকি অংশকে গড়িয়ে দেয়। এমনি করে মুহূর্মুহু ক্ষণিক-পা বের হয় আর প্রোটোপ্লাজম সেইদিকে বয়ে যায়। এভাবেই অ্যামিবা অত্যন্ত ধীরগতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।

১১) গমনে সক্ষম গাছ ও গমনে অক্ষম প্রাণীর নাম লেখো।

উত্তর: গমনে সক্ষম একটি গাছ হল ক্ল‍্যামাইডোমোনাস এবং অক্ষম প্রাণী হল স্পঞ্জ, প্রবাল।

১২) কয়েকটি 'হক্' জাতীয় পাখির নাম লেখো। 

উত্তর: কয়েকটি 'হক্' জাতীয় পাখি হল ইগল, চিল, বাজ, প্যাঁচা প্রভৃতি।

১৩) আফ্রিকার কী জাতীয় পাখি ওড়া ছেড়ে হাঁটায় পারদর্শী হয়ে উঠেছে?

উত্তর: আফ্রিকার 'ইন্' জাতীয় পাখি ওড়া ছেড়ে হাঁটায় পারদর্শী হয়ে উঠেছে।

১৪) ক্রমবিকাশের পথ পরিক্রমায় ঘোড়ার আঙুলের কোন্ পরিবর্তন উ ঘটেছে?

উত্তর: ক্রমবিকাশের পথ পরিক্রমায় ঘোড়ার আঙুলের বিশেষ পরিবর্তন ঘটেছে। ঘোড়ার পূর্বপুরুষদের খুর ছিল না। তারা হাতে-পায়ে পাঁচ আঙ্গুলবিশিষ্ট প্রাণী ছিল। কিন্তু ক্রমবিকাশের পথ পরিক্রমায় আস্তে আস্তে অন্য আঙুলগুলি অদৃশ্য হয়ে যায়, থেকে যায় শুধু মাঝের আঙুলটি যাকে এ আমরা এখন খুর বলে জানি।

১৫) পাঠ্যাংশে রয়েছে এমন একটি নিশাচর প্রাণীর নাম লেখো। 

'উত্তর: পাঠ্যাংশে উল্লেখিত একটি নিশাচর প্রাণী হল শিয়াল।

১৬)টীকা লেখো: হিউয়েন সাঙ, শ্রীজ্ঞান' দীপঙ্কর, ভাস্কো-ডা-গামা,শংকরাচার্য।

উত্তর: 

হিউয়েন সাঙ- হিউয়েন সাঙ ছিলেন একজন চিনা পরিব্রাজক। চিন সম্রাট তাই সাঙ-এর রাজত্বকালে চিনদেশ থেকে যাত্রা করে ৬২৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতবর্ষে পৌঁছোন। ইনি তাতার-আফগানিস্তান হয়ে ভারতে আসেন। তখন ভারতবর্ষে হর্ষবর্ধন রাজত্ব করছিলেন। তিনি বৌদ্ধ তীর্থস্থানগুলি ভ্রমণ করেন। তিনি নালন্দাতে পাঁচ বছর ছিলেন। তাঁর লেখা বইতে তখনকার ভারতবর্ষের এক দুর্লভ চিত্র পাওয়া যায়।

শ্রীজ্ঞান দীপঙ্কর- ৯৮০ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা বিক্রমপুরের বজ্রযোগিনী গ্রামে শ্রীজ্ঞান দীপঙ্করের জন্ম হয়। অল্প বয়সে ইনি বৌদ্ধধর্মের বিভিন্ন শাস্ত্রে জ্ঞান অর্জন করেন। উনিশ বছর বয়সে ওদন্তপুরী বিহারের মহাসাংঘিকাচার্য শীলরক্ষিতের কাছে দীক্ষা গ্রহণ করে দীপঙ্কর শ্রীজান আখ্যা পান। বাংলার রাজা মহীপালের অনুরোধে ইনি বিক্রমশিলা মহাবিহারের অধ্যক্ষ পদে আসীন হয়েছিলেন। দীপঙ্করের অপর এক উপাধি হল অতীশ। তিনি তিব্বতি বৌদ্ধদের আহবানে তিব্বতে যান। শেষ জীবনটা তিনি তিব্বতেই কাটান। তিনি অনেক সংস্কৃত ও পালি গ্রন্থ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন।

ভাস্কো-ডা-গামা-  ভাস্কো-ডা-গামা-ভাস্কো-ডা-গামা ছিলেন এক দ্রাসাহসী পোর্তুগিজ নাবিক। তিনি ১৪৯৭ খ্রিস্টান্সে পোর্তুগালের রাকসানী লিসবন থেকে একদল নাবিককে সঁপে দিয়ে ভারতবর্ষের খোঁজে জাহাজ নিয়ে অকূল সমুদ্রে পাড়ি দেন। এগারো মাস জামাজে থেকে আফ্রিকার উত্তমাশা অন্তরীপ ঘুরে ১৪৯৮ সালের ২০ মৌ ভারতের দক্ষিণ উপকূলের কালিকট বন্দরে এসে হাজির হন। তিনি মালাবার উপকূলে ছ-মাস ছিলেন। ভারতের সঙ্গে পোর্তুগালের বাশিজন সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।

শংকরাচার্য- সুপ্রসিদ্ধ বেদান্ত ভাষ্যকার শংকরাচার্য আচার্য শংকর নামে সবিশেষ পরিচিত। বর্তমান কেরল রাজ্যের কালাদি গ্রামে ৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁর জন্ম হয়। অতি অল্প বয়সেই তিনি সংস্কৃত সাহিত্য ও বিভিন্ন শাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। তিনি চারটি মঠ প্রতিষ্ঠা করেন-মা-অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের ঐতিহাসিক বিকাশ, প্রসার ও পুনজাগরণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। জীবনে সন্ন্যাসের গুরুত্বকে তুলে ধরতে তিনি উপনিসদ ও ব্রহ্মসূত্রের ব্যাখ্যা করেন। এ ছাড়া ভগবদ্গীতার ভাষাও তিনি বচনা করেন। ৮২০ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ৩২ বছর বয়সে তিনি দেহত্যাগ করেন।

১৭)"প্রাণী মাত্রকেই খাবার সংগ্রহ করতে হয়।"-গাছ কীভাবে না দৌড়ে তার খাবার সংগ্রহ করতে পারে?

উত্তর: গাছ দৌড়োয় না। এক জায়গায় বসে বসেই গাছ তার খাবার তৈরি করতে পারে। তারা মাটির নীচ থেকে শিকড়ের সাহায্যে জল সংগ্রহ করে। গাছের পাতায় ক্লোরোফিল থাকে। এই ক্লোরোফিল সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে, বাতাসের কার্বন ডাইঅক্সাইডের সাহায্যে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় গাছের খাদ্য প্রস্তুত করে।

১৮) প্রবন্ধে লেখক জানিয়েছেন যে খাবার সংগ্রহের কারণেই "প্রাণীরা এক জায়গায় স্বাণু না হয়ে দিকে দিকে পরিভ্রমণ করে।" তুমি কি এই মতটিকে সমর্থন করো? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। 

উত্তর: উদ্ভিদরা একজায়গায় দাঁড়িয়ে নিজেদের খাবার তৈরি করতে পারে। প্রাণীরা তা পারে না বলে তাদের একজায়গায় স্থির থাকলে চলে না। খাবার সংগ্রহের তাগিদে তাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটে বেড়াতে হয়। যদিও খাবার সন্ধান ছাড়াও তারা বাসস্থানের সন্ধান, আত্মরক্ষা বা - বংশবিস্তারের জন্যও পরিভ্রমণ করে তবুও খাদ্যসন্ধানই তাদের পরিভ্রমণের মূল কারণ। সুতরাং, লেখকের মন্তব্যটি সম্পূর্ণ সমর্থনযোগ্য।

১৯) গমনাগমনের প্রকৃত মাধুর্ঘষ্টা আমাদের চোখে পড়ে সাধারণত - উচ্চতর প্রাণীর মধ্যে।"-পাঠ্যাংশে উচ্চতর প্রাণীদের গমনাগমনের মাধুর্য এ কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে আলোচনা করো।

উত্তর: উচ্চতর প্রাণী বলতে এখানে সামুদ্রিক জীব, পতঙ্গ, শামুক, চিংড়ি-সহ নাপাখি ও জন্তুজানোয়ারকে বোঝানো হয়েছে। শেষে শ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষের নি। কথাও, বলা হয়েছে। সামুদ্রিক জীব সমুদ্রস্রোতে গা ভাসিয়ে পাড়ি দেয় স্ত্রী মাইলের পর মাইল। চিংড়ি চলে দাঁড়া নাড়িয়ে। কোনো কোনো পতঙ্গ ব ওড়বার সময় প্রচন্ড জোরে ডানা নাড়ায়। শামুক চলে তাদের একটামাত্র মাংস- না পুরু পা দিয়ে জলীয় চিহ্ন রেখে। আবার উচ্চতর জীবদের মধ্যে গমন শক্তিরও বি অনেক পার্থক্য আছে। কোনো কোনো জন্তু তাদের দেহের ভারি ওজন তা সত্ত্বেও তীব্রবেগে চলে। অত্যধিক ওজনবিশিষ্ট গ্যাজোলি, এন্টিলোপ য় প্রজাতির হরিণ তীব্রবেগে দৌড়োয়। হালকা কোনো পাখি হাওয়ায় তিরের বেগে ছুটে চলে। বেজায় ওজন নিয়ে কাদা ভেঙে চিপো চলে থপথপ করে। লেখক বিভিন্ন প্রাণীর বৈচিত্রো ডর লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।

২০) "এ পথে আমি যে গোছ"-রবীন্দ্রাবলশীতের অনুবলটি পাঠ্যাংলে কোন্ প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তর: বাগানের পামুকদের লো দেখে রবীন্দ্রনাথের গানের প্রকল্পটি এসেছে। বাগানের শামুকরা গুলে তাদের একখানা মাংসল পা নিয়ে। গুলে যাওয়ার সময় তারা তাদের চলার পথে জলীয় পদচিহ্ন রেখে যায়। এই প্রিয়ের উল্লেখ প্রসঙ্গেই লেখকের রবীন্দ্রসংগীতের এই লাইনটি মনে পড়েছে।

 ২১)"এরকম মনে করলে ভুল হবে।'- কোন ব্রটি বিষয়ের স্কুল সাপেকে প্রিয় এমন মন্ডবা করা হয়েছে?

উত্তর: কোনো হালকা পাখির হাওয়ায় তিরের মতো ছুটে চলে যাওয়া আর বেজায় ওজন নিয়ে একখানা হিপো বা জলহস্তীর কাদা ভেঙে থপথপ করে এগিয়ে যাওয়া একইরকম ও কথা মনে করলে ভুল হবে-এই দু-প্রকার প্রাণীর গমন প্রসঙ্গে উপরোক্ত মন্তব্যটি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, গমন শক্তি বিচারের ক্ষেত্রে কেবল অতিক্রান্ত দূরত্বের কথা মাথায় রাখলেই চলে না ,বিচার করে দেখতে হয় তাদের দৈহিক ওজনের বিষয়টিকেও।

২২) উচ্চতর জীবদের পেশি কাজ করার ক্ষেত্রে কীভাবে শক্তি উৎপাদিত দি হয়?

উত্তর: উচ্চতর জীবরা পেশির সঞ্চালনের সাহায্যে পা নাড়াতে পারে। যখন পেশি কাজ করে, তখন এডিনোসিন ট্রাইফসফেট (ATP) নামক রাসায়নিক পদার্থের ক্রিয়ার ফলে শক্তি উৎপন্ন হয়।

 ২৩) "ক্রমবিকাশের ইতিহাসে জানা যায়..."-এ প্রসঙ্গে লেখক কোন তথ্যের অবতারণা করেছেন?

উত্তর: ক্রমবিকাশের ইতিহাসে জানা যায়, ঘোড়ার পূর্বপুরুষদের এখনকার মতো খুর ছিল না। তাদের পায়ে ছিল পাঁচটা করে আঙুল। কিন্তু ক্রমবিকাশের পথ পরিক্রমায় আস্তে আস্তে অন্য আঙুলগুলি অদৃশ্য হয়ে যায়,থেকে যায় শুধু মাঝের আঙুলটি-যাকে আমরা খুর বলে জানি।

২৪)"মনের দৌড়ে মানুষ চ্যাম্পিয়ন।"-এমন কয়েকজন মানুষের কথা লেখো যাঁদের শারীরিক অসুবিধা থাকলেও মনের দৌড়ে সত্যিই তাঁরা প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছেন।

উত্তর: সুধা চন্দ্রন-বিখ্যাত ভরতনাট্যম শিল্পী এবং অভিনেত্রী সুধা চন্দ্রনের ১৯৮১ সালে এক পথদুর্ঘটনায় ডান পা বাদ যায়। সেই প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি একজন সফল নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন। মারলে রুনিয়ান-বিখ্যাত দৌড়বিদ মারলে রুনিয়ান অন্ধ হওয়া সত্ত্বেও ৫০০০ মিটার দৌড়ে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। ক্রিস্টি ব্রাউন-বিখ্যাত আইরিশ লেখক ক্রিস্টি ব্রাউন পক্ষাঘাত আক্রান্ত ছিলেন। তা সত্ত্বেও তিনি নিজের পায়ের সাহায্যে আত্মজীবনী লেখেন।হেলেন কেলার-অন্ধ ও বধির হেলেন কেলার সমস্ত প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন।

 ২৫)"মানুষ এখন শুধু নিজে চলেই ক্ষান্ত নয়।"-নিজের চলা ছাড়া বর্তমানে মানুষ কী কী জিনিস চালাতে সক্ষম?

উত্তর: মানুষ এখন শুধু নিজে চলেই ক্ষান্ত নয়, সে অন্য সবকিছুই চালাতে সমান উৎসুক। সে এখন জলে চালাচ্ছে জাহাজ, স্থলে চালাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এবং রেলপথে রেল চালিয়ে এক প্রান্ত থেকে আর-এক প্রান্তে ছুটছে। আকাশপথে মানুষ চালাচ্ছে প্লেন ও জেট। এমনিভাবে দশ দিনের পথ সে এক ঘন্টায় কিংবা কয়েক মিনিটে পাড়ি দিচ্ছে। মানুষ এখন আকাশটাকে ঘোড়দৌড়ের ময়দান করে তুলেছে।

২৬) "এ যাত্রা তোমার থামাও।"-লেখক কাকে একথা বলেছেন? এর কোন উত্তর তিনি কীভাবে পেয়েছেন? 

উত্তর: লেখক এ কথা পাগলের মতো হনহনিয়ে ছুটে চলা পৃথিবীকে বলেছেন।

 লেখক এর উত্তর পেয়েছেন দখিনা বাতাসের কাছ থেকে। পৃথিবী তার দখিনা বাতাসের ভিতর দিয়ে লেখকের কানে কানে জানিয়েছে, “থামা মানে জীবনের শেষ। যতদিন আছো, ততদিন চলো। দাঁড়িও না-শাশ্বত সত্যের দিকে যাওয়ার গতি বন্ধ করো না। চরৈবেতি...।"

২৭) গাছেদের না দৌড়ানোর কারণ কী?

উত্তর: এক জায়গায় স্থির থেকেই গাছ খাবার তৈরি করতে পারে। তাই সম্ভবত গাছেরা দৌড়োয় না।

২৮) অ্যামিবা কীসের সাহায্যে এগিয়ে চলে?

উত্তর: অ্যামিবা দেহ অর্থাৎ কোশের মধ্যেকার প্রোটোপ্লাজমের সাহায্যে এগিয়ে চলে।

২৯) প্যারামোসিয়াম কী ধরনের জীব?

উত্তর: প্যারামোসিয়াম হল এককোশী জীব।

৩০) 'কার দৌড় কদ্দুর' গল্পটির লেখক কে? 

উত্তর: 'কার দৌড় কদ্দুর' গল্পটির লেখক হলেন শিবতোষ মুখোপাধ্যায়।

৩১) "রসনা রটনা করে এদিকে কিংবা ওদিকে।”-এই কথার মাধ্যমে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর: গাছ এক জায়গায় দাঁড়িয়েই তার খাবার তৈরি করতে পারে। কিন্তু প্রাণীদের খাবার সংগ্রহের জন্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হয়। এই ঘটনা প্রসঙ্গেই মন্তব্যটি করা হয়েছে।

৩২) "আমাদের নিজেদের শরীরের মধ্যে একরকম ভবঘুরে সেল আছে।'-কোন্ সেলের কথা বলা হয়েছে? শরীরে তারা কী কাজে লাগে?

উত্তর: প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশে আমাদের শরীরের রক্তের মধ্যে থাকা 'শ্বেতকণিকা' নামক সেলের কথা বলা হয়েছে।

 শরীরে রোগজীবাণু আক্রমণ করলে 'শ্বেতকণিকা' তাদের বাধা দেয়, যাতে শরীর সুস্থ থাকে। অর্থাৎ শরীরকে সুস্থ রাখাই এই সেলের কাজ।

৩৩) এফিড একনাগাড়ে কত মাইল রাস্তা উড়তে পারে?

উত্তর: এফিড একনাগাড়ে আট মাইল পথ উড়তে পারে।

৩৪) চিতাবাঘের গতিবেগ কত?

উত্তর: চিতাবাঘের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০ মাইল পর্যন্ত।

৩৫) গ্যাজেলি নামক হরিণ কোথায় পাওয়া যায়?

উত্তর: গ্যাজেলি নামক হরিণ গোবি মরুভূমিতে পাওয়া যায়।

৩৬) ক্যাঙারুর সঙ্গে কার চলনের মিল আছে?

উত্তর: ওজনের সাপেক্ষে ক্যাঙারুর সঙ্গে ইমু পাখির চলনের বেগের মিল আছে।

৩৭) হাতির চলনের বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তর: ৭০০০ পাউন্ড ওজন নিয়েও হাতি ঘণ্টায় ২৫ মাইল বেগে ছুটতে পারে।

৩৮) "কত ভারী জন্তু কত ওজন নিয়ে কত সময় কত দূর গেছে তাই বিবেচ্য।"-উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: লেখকের মতে, কোনো প্রাণীর গমন শক্তিকে বিবেচনা করতে হয় তার দৈহিক ওজনের পরিমাণ হিসেব করে। যেমন, চিতাবাঘ একশো তিরিশ পাউন্ড ওজন নিয়ে ঘণ্টায় ৭০ মাইল পর্যন্ত দৌড়োতে পারে, কিন্তু একই ওজন হওয়া সত্ত্বেও নেকড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৬ মাইল মাত্র। অথচ হিপো ২৮০০ পাউন্ড ওজন নিয়েও ঘণ্টায় ২০-৩০ মাইল চলতে পারে। ৭০০০ পাউন্ডের বিরাট চেহারা নিয়েও হাতি ঘণ্টায় ২৫ মাইল বেগে ছুটতে পারে।

৩৯) "পাখিরা বহু দূরত্ব পার হতে পারে।"-পাখিদের দূরত্ব পার হওয়ার গতিপ্রকৃতির বর্ণনা দাও।

উত্তর: মেরুপ্রদেশের টারনস প্রতি বছর এগারো হাজার মাইল একবারে উড়ে আসে আবার পরে ফিরে যায়। কোনো কোনো হক্ জাতীয় পাখি ঘণ্টায় একশো পঞ্চাশ মাইল বেগে উড়তে পারে। আফ্রিকার ইন্ জাতীয় পাখি ওড়া ছেড়ে হাঁটায় পারদর্শী হয়েছে। ১১০ পাউন্ড দেহের ওজন নিয়েও এই পাখি ঘণ্টায় ৩১ মাইল বেগে চলতে পারে।

৪০) ক্রমবিকাশের পথে মানুষ কী অর্জন করেছে?

উত্তর: ক্রমবিকাশের পথে মানুষ মনকে চালানোর ক্ষমতা অর্জন করেছে।

৪১) মানুষ কীসে চ্যাম্পিয়ন?

উত্তর: মানুষ মনের দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন।

৪২) সবকিছুকে চালাতে গিয়ে মানুষ আকাশটাকে কী করে তুলেছে?

উত্তর: সবকিছুকে চালাতে গিয়ে মানুষ আকাশটাকে ঘোড়দৌড়ের মাঠ করে তুলেছে।

৪৩) "এ যাত্রা তোমার থামাও।"-লেখক কাকে একথা বলেছেন?

উত্তর: লেখক সদাচলমান পৃথিবীকে একথা বলেছেন।

৪৪) "বাইরে চলাটা আসল নয়।"-লেখকের মতে আসল চলা কোনটি?

উত্তর: লেখকের মতে, মানুষের প্রকৃত চলা হল তার মনভূমির মধ্যে। মানুষের মনের গতিবেগ আলোর গতিবেগসম্পন্ন। এই মনকে চালিত করেই মানুষ বিভিন্ন দিকে তার পদচারণা করেছে। অজানাকে জানতে পেরেছে।

৪৫) মনের দৌড়ে কারা চ্যাম্পিয়ন? তুমি কেন তাদের চ্যাম্পিয়ন মনে করো?

 উত্তর: মনের দৌড়ে মানুষ চ্যাম্পিয়ন।

 মানুষের মনের গতিবেগ আলোর গতিবেগসম্পন্ন। মনের এই চালনা শক্তির সাহায্যে মানুষ নিজেকে বিভিন্ন দিকে চালিত করেছে। হিউয়েন সাঙ, দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান, কলম্বাস, ভাস্কো-ডা-গামা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। শারীরিক চলার গতি ও মনের গতির সাহায্যে এভাবেই মানুষ চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ো- 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area