Ads Area


সপ্তম শ্রেণীর বাংলা || একুশের কবিতা (আশরাফ সিদ্দিকী) প্রশ্ন ও উত্তর || Bengali Class-7 West Bengal

একুশের কবিতা
আশরাফ সিদ্দিকী

প্রিয় ছাত্র ছাত্রী,

আজ আমরা তোমাদের জন্য সপ্তম শ্রেণীর বাংলা বই থেকে কবি আশরাফ সিদ্দিকী লেখা একুশের কবিতা এই কবি থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম, যা তোমাদের পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তাই আর সময় নষ্ট না করে নিচের প্রশ্ন উত্তর মনোযোগ সহকারে পড়ে নাও।

সপ্তম শ্রেণীর বাংলা || একুশের কবিতা (আশরাফ সিদ্দিকী) প্রশ্ন ও উত্তর || Bengali Class-7  West Bengal


সপ্তম শ্রেণীর বাংলা || একুশের কবিতা (আশরাফ সিদ্দিকী) প্রশ্ন ও উত্তর || Bengali Class-7  West Bengal

১) "পাখি সব করে রব'- উদ্ধৃতাংশটি কার লেখা কোন্ কবিতার অংশ? কবিতাটি তাঁর লেখা কোন্ বইতে রয়েছে?

উত্তর: উদ্ধৃতাংশটি মদনমোহন তর্কালঙ্কারের 'প্রভাতবর্ণন' কবিতার অংশ।

 কবিতাটি লেখকের 'শিশুশিক্ষা' বই থেকে নেওয়া হয়েছে। তিন খণ্ডের প্রথম ভাগে এই কবিতাটি রয়েছে। 

২) এই পঙ্ক্তিটি পাঠের সুরকে 'মন্ত্রের মতো' বলা হয়েছে কেন?

উত্তর: এই পত্তিটির পাঠে মনের মধ্যে মন্ত্রপাঠের মতোই স্বর্গীয় অনুভূতির সৃষ্টি হয়। তাই একে 'মন্ত্রের মতো' বলা হয়েছে।

৩) এই সুরকে কেন 'স্মৃতির মধুভাণ্ডার' বলা হয়েছে? তা কবির মনে কোন্ স্মৃতি জাগিয়ে তোলে?

উত্তর: এই সুরকে 'স্মৃতির মধুভান্ডার' বলার কারণ হল, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শৈশবে পাঠশালায় কবিতাটি পাঠ করার স্মৃতি, যা সর্বদাই মধুর এবং অমলিন। তাই একে 'স্মৃতির মধুভাণ্ডার' বলা হয়েছে।

 এই শৈশবস্মৃতি কবির মনে বাংলার এক সুন্দর ছবি জাগিয়ে তোলে। কবিকে বাংলার দেশ-মাঠ-বন-নদী, অজস্র লোকগানের কথা মনে করিয়ে দেয় আর এ সবের মধ্য দিয়ে কবির মনে বাংলামায়ের মুখ মধুর স্মৃতি হয়ে জেগে ওঠে। 

৪) "সেই আমার দেশ-মাত-বন-নদী"-দুই বঙ্গ মিলিয়ে তিনটি অরণ্য ও পাঁচটি নদীর নাম লেখো।

উত্তর: দুই বাংলা মিলিয়ে রয়েছে সুন্দরবন, গোব্রুমারা অরণ্য, (পশ্চিমবঙ্গ),পার্বত্য চট্টগ্রামের ভোলা ও মধুমতি (বাংলাদেশ)। পাঁচটি নদী হল পশ্চিমবঙ্গের গড়না, দামোদর, তিয়া ও বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা।

৫) টীকা লেখো: জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, বিন্নিধান, কথকতা,রূপকথা।

উত্তর:

1) জারি - বাংলার মুসলমানি পল্লিসংগীত। ফারসি শব্দ 'যারী' থেকে এর উৎপত্তি। জারিগানের অর্থ লোকসংগীত। কারবালার প্রান্তরে হজরত মহম্মদের দৌহিত্র হোসেন এবং পরিবারের অনাদের শোচনীয় মৃত্যুকে উপলক্ষ্য করে জারিগান রচিত হয়।

 2) সারি - মাঝি-মাল্লাদের বিশেষ ধরনের গান। অন্যান্য শ্রমজীবীরাও মূলত কষ্ট কমানোর জন্য এই গান করেন। মোগল বাদশাহদের সময় এই গানের প্রসার ঘটে। সারি গানের মূল গায়ককে বলা হয় বয়াতি। মূলত পূর্ববঙ্গেই এই গানের ব্যাপক প্রচলন দেখা যায়।

 3) ভাটিয়ালি - এটি মাঝি-মাল্লাদের বিশেষ ধরনের গানের সুর। সুর অর্থেই ভাটিয়ালি কথাটি ব্যবহৃত হয়।

4) মুর্শিদি - এটি হল পিরের গান। মুসলমান সাধু ও মহাপুরুষকে পির বলা হয়, যেমন-'সত্যপির'। এটি বাস্তবতা বিষয়ক এক ধরনের দেহতত্ত্বের গানও বটে।

5) বিন্নিধান- এক ধরনের আউশ ধান। নীচু জলাজমিতে বিশেষত পূর্ববঙ্গে এর চাষ হয়। এই ধানের খই খুব ভালো হয়।

6) কথকতা- রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ ইত্যাদি গ্রন্থের পাঠ, ব্যাখ্যা করার শৈলীকে বলা হয় কথকতা। এই কথকতার কাজটি যিনি করেন, তাঁকে বলা হয়, 'কথক' বা 'কথকঠাকুর'।

7) রূপকথা- ছেলেভোলানো অবাস্তব কল্পনামূলক কাহিনিকে বলা হয় 'রূপকথা'। এই কাহিনিতে রাক্ষস-রাক্ষসী ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী পাখি প্রভৃতি কাল্পনিক চরিত্র থাকে। আর থাকে রাজকুমারী এবং অবশ্যই রাজকুমার। এরা কেউই বাস্তব চরিত্র নয়, সবাই কাল্পনিক।

৬) তোমার জানা দুটি পৃথক লোকসংগীতের ধারার নাম লেখো। 

উত্তর: পাঠ্যাংশে উদ্ধৃত লোকসংগীতের ধারাগুলি ছাড়া পৃথক দুটি ধারা হল বাউল গান ও টুসু গান।

৭) "ইতিহাস থমকে দাঁড়িয়ে লিখে নিলো সব"-'সব' বলতে এখানে কী কী বোঝানো হয়েছে?

 উত্তর: ইতিহাস থমকে দাঁড়িয়ে 'একুশের' ভাষা-আন্দোলনের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় লিখে নিল। মাঠ-ঘাট-বাট-হাট-বন সর্বত্র জেগে-ওঠা তীব্র অসন্তোষ এবং প্রতিবাদ, পূর্ব-পাকিস্তানের সেনাদের গুলিতে মারা বিপ্লবী তরুণদের মৃত্যু-ভাষার অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের সেইসকল কাহিনি ইতিহাস থমকে দাঁড়িয়ে একে একে লিখে নিল।

৮) "তাই তো সহস্র পাখির কলতানে আজ দিগন্ত মুখর'-'সহস্র পাখি' কাদের বলা হয়েছে?

উত্তর: উর্দুকে পূর্ব-পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে বাংলার মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল। বাংলা ভাষার মর্যাদাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিল। এরপর দেশে পুনরায় স্বাভাবিক জীবনযাণ্ডা ফিরে এল। হাজার হাজার মানুষ আবার আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠল। এই মানুষদেরই কবি 'সহস্র পাখি' বলে চিত্রিত করেছেন। 

৯) "কয়েকটি পাখি... পড়ে গেল গেল মাটিতে।"

উত্তর: উর্দুকে পূর্ব-পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল সেখানকার মানুষ। তাদের প্রতিবাদ-আন্দোলনে, পাকসেনার গুলিতে মারা যায় সালাম, বরকত, রফিক, সফিউর, জব্বার প্রমুখ তরুণ। সেইসব ভাষা-শহিদদেরই এখানে গুলিবিদ্ধ পাখির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

১০)"সেই শোকে কালবৈশাখীর ঝড় উঠলো আকাশে।" 

উত্তর: ভাষার অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারীদের উপরে পাক-সেনাদের অমানবিক নির্যাতনে পূর্ব-পাকিস্তানের মানুষেরা খেপে উঠেছিল। এর ফলস্বরূপ প্রতিরোধ-আন্দোলন-যুদ্ধ আরম্ভ হয়। সেই মরণপণ সংগ্রামকেই কবিতায় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। 

 ১১) "কথায় কথায় কথকতা কতো রূপকথা।"

উত্তর: বাঙালি জীবনের পরিচয় কথকতা, রূপকথা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়। এগুলি বাঙালি সংস্কৃতির নিজস্ব জিনিস। বাংলা ভাষা ও বাঙালির বিজয়ের মধ্য দিয়ে এগুলির পুনঃপ্রতিষ্ঠাই লক্ষ করেছেন কবি।

১২)"তাই তো আজ দ্যাখ্যে ও মিছিলে এসে দাঁড়িয়েছেন আমার মা।" 

উত্তর: ভাষা আন্দোলনে বিজয়ী মানুষের মিছিলের মাঝে আলোর দীপ্তি নিয়ে দেখা দেন 'দেশমাতৃকা'। দেশমাতার উপস্থিতি আন্দোলনের উগ্রতাকে কমিয়ে বিজয়ের আনন্দকে আবেগময় করে তোলে।

১৩) এই কবিতায় 'পাখি' শব্দের ব্যবহার কতখানি সার্থক হয়েছে, তা কবিতার বিভিন্ন পতৃপ্তি উদ্ধৃত করে আলোচনা করো। 

উত্তর: কবি এখানে 'পাখি'-র রূপকের সাহায্যে ভাষা-আন্দোলনকারীদেরই বোঝাতে চেয়েছেন। পাখির কলকাকলি যেমন করে হঠাৎ গুলির আঘাতে থেমে যায়, একে একে পাখিরা ঝরে পড়ে মাটিতে, সেইভাবেই খানসেনাদের অতর্কিত গুলিবর্ষণে বাঙালি যুবকরা প্রাণ দেয়, তাদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। "কয়েকটি পাখির গান শেষ না হতেই তারা ঝরে পড়ে গেল মাটিতে" -এই ছবিটি নির্যাতন ও মৃত্যুরই প্রতীক। আবার 'সহস্র পাখির কলতানে দিগন্ত একসময় মুখরিত হয়ে উঠেছে-এই চিত্রের সাহায্যে বাংলা ভাষার মর্যাদারক্ষায় আপামর জনসাধারণের উচ্ছ্বাস এখানে বর্ণিত হয়েছে। মানুষ মাতৃভাষা ব্যবহারের অধিকার পেয়ে পাখির মতো অপার স্বাধীনতা উপভোগ করেছে।

১৪) "পাখি সব করে রব' উদ্ধৃতাংশটি কার লেখা কোন্ কবিতার অংশ?

উত্তর: 'পাখি সব করে রব' উদ্ধৃতাংশটি মদনমোহন তর্কালঙ্কারের লেখা 'প্রভাতবর্ণন' কবিতার অংশ।

১৫) বর্তমানে পাঠশালায় পড়া মন্ত্রের মতো সুর কবির কাছে কীরূপ?

উত্তর: বর্তমানে পাঠশালায় পড়া মন্ত্রের মতো সুর কবির কাছে স্মৃতির মধুভাণ্ডার।

১৬) "আরও কত সুরের সাথে মিশে আছে..." কবি কোন্ কোন্ সুরের বা গানের কথা উল্লেখ করেছেন? 

 অথবা, 'একুশের কবিতা'য় কোন্ কোন্ গানের উল্লেখ আছে?

 উত্তর: কবি আশরাফ সিদ্দিকী জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি ইত্যাদি গান বা তার সুরের কথা উল্লেখ করেছেন।

১৭) মায়ের মুখের সঙ্গে গানের সুরে কবি আর কী মিশে থাকতে দেখেছেন?

উত্তর: নানান গানের সুরের সঙ্গে কবি মিশে থাকতে দেখেছেন তাঁর মায়ের মুখ আর মায়ের গাওয়া অজস্র গানের কলি।

১৮)"পাখি সব করে রব" পঙ্ক্তিটিকে কবির কী মনে হয়েছে?

উত্তর: এই পঙ্ক্তিটিকে কবির পাঠশালায় পড়া মন্ত্রের মতো সুর বলে মনে হয়েছে। সেই সুর পরিণত জীবনে কবির কাছে স্মৃতির মধুভাণ্ডার হয়ে উঠেছে।

১৯) "সুর নয় স্মৃতির মধুভাণ্ডার"-কোন্ স্মৃতির কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: পাঠশালার কবিতার সূত্র ধরে কবির মনে ভেসে ওঠে দেশ-নদী-মাঠ আর জারি-সারি-ভাটিয়ালির মতো গানের সুর, যার সঙ্গে মিশে আছে তাঁর মায়ের মুখ, আর মায়ের গাওয়া অজস্র গানের কলি।

২০)"আরও কত সুরের সাথে মিশে আছে / আমার মায়ের মুখ'- কথাটির মধ্য দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর: জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি ইত্যাদি গানগুলি বাঙালির নিজস্ব লোকসংগীত। তাই এই গানগুলির মধ্য দিয়ে বাংলার প্রাণের সুর বেজে ওঠে। সে কারণেই কবি বলেছেন এই সব সুরে যেন মিশে আছে তাঁর 'মায়ের মুখ'।

২১)"পড়ে গেল মাটিতে"-কারা মাটিতে পড়ে গিয়েছিল?

উত্তর: কয়েকটি পাখি, যারা গান গাইছিল, তারা গান শেষ করার আগেই মাটিতে পড়ে গিয়েছিল।

২২) আকাশে কালবৈশাখীর ঝড় উঠতে কী কী কেঁপে উঠেছিল?

উত্তর: আকাশে কালবৈশাখীর ঝড় উঠতে মাঠ, ঘাট, বাট, হাট, বন, মন কেঁপে উঠেছিল।

২৩) "ইতিহাস থমকে দাঁড়িয়ে লিখে নিলো সব..."-ইতিহাস কেন থমকে দাঁড়িয়েছিল?

উত্তর: মাতৃভাষার মর্যাদারক্ষার জন্য শহিদদের আত্মদানের যে ঘটনা ঘটেছিল, ইতিহাস তার জন্য প্রস্তুত ছিল না বলেই থমকে দাঁড়িয়েছিল।

২৪)"পড়ে গেল মাটিতে।"-এই পড়ে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে কবি বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর: বিন্নিধানের মাঠের ধারে গুলিবিদ্ধ হয়ে পাখিদের পড়ে যাওয়ার চিত্রের মাধ্যমে কবি ভাষার জন্য যারা লড়াই করছিল তাদের মৃত্যুর কথা বোঝাতে চেয়েছেন।

২৫) "তাই তো সহস্র পাখির কলতানে আজ দিগন্ত মুখর"-কাদের সহস্র পাখি বলা হয়েছে?

উত্তর: মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবিচল মানুষকে বোঝানো হয়েছে।

২৬) "তাই তো আজ দ্যাখো..."-কবি কী দেখতে বলেছেন?

উত্তর: কবি দেখতে বলেছেন যে, মিছিলে তাঁর মা এসে দাঁড়িয়েছেন।

২৭) "যিনি এখনো এ মিছিলে গুন গুন করে গাইতে পারেন..."-কী গাওয়ার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: এখানে মা-র গুন গুন করে গাওয়া শৈশবের ছড়া-"পাখি সব করে রব..."-এর কথা বলা হয়েছে।

২৮) 'একুশের কবিতা'য় মিছিলে এসে দাঁড়ানো মা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর: কবি যে মা-কে মিছিলে এসে দাঁড়াতে দেখেন তিনি বাংলা ভাষায় কথা বলতে খুব ভালোবাসেন। সেই কথায় কথকতা, রূপকথা আর ছড়ার ছন্দ মিষ্টি সুরের ফুল ছড়িয়ে যায়। মিছিলে গুনগুন করে মা গেয়ে ওঠেন “পাখি সব করে রব"।

২৯) “... এ মিছিলে গুন গুন করে গাইতে পারেন।"-মায়ের গাওয়া এই গানের বিশেষত্ব কী?

উত্তর: মিছিলে মা গুনগুন করে গেয়েছিলেন- "পাখি সব করে রব..."। শৈশবে পাঠশালায় পড়া এই ছড়া যখন মায়ের মুখে আবার শোনা যায় তখনই। একথা স্পষ্ট হয় যে, বাংলা ভাষার অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আরও পড়ো- 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area