Ads Area


চিরদিনের (সুকান্ত ভট্টাচার্য) প্রশ্ন ও উত্তর || সপ্তম শ্রেণীর বাংলা || Ciradinera Questions And Answers

 চিরদিনের
সুকান্ত ভট্টাচার্য

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই আর্টিকেলে আমরা Class 7 এর বাংলা বইয়ের কবিতা চিরদিনের প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের সপ্তম শ্রেনীর পাঠ্যবইতে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য এর লেখা কবিতা চিরদিনের রয়েছে। এই কবিতা থেকে কিছু প্রশ্নপত্র  রয়েছে তার সমাধান আমরা এখানে করে দিলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে।


সপ্তম শ্রেণীর বাংলা || চিরদিনের (সুকান্ত ভট্টাচার্য) প্রশ্ন ও উত্তর || Ciradinera Questions And Answers


সপ্তম শ্রেণীর বাংলা || চিরদিনের (সুকান্ত ভট্টাচার্য) প্রশ্ন ও উত্তর || Ciradinera Questions And Answers


১) ব্যস্ত ঘড়ির কাঁটা কোথায় গিয়ে থেমে গেছে? 

উত্তর: ব্যস্ত ঘড়ির কাঁটা বৃষ্টিমুখর লাজুক গাঁয়ে গিয়ে থেমে গেছে।

২) তালের সারি কোথায় রয়েছে?

উত্তর: জোড়া দিঘির পাড়ে তালের সারি রয়েছে।

৩) কিষাণপাড়া নীরব কেন?

উত্তর: দুর্ভিক্ষের কারণে অনেক মানুষ পাড়া ছেড়ে চলে যাওয়ায় কিষাণপাড়া নীরব।

৪) বর্ষায় কে বিদ্রোহ করে?

উত্তর: বর্ষায় গ্রামের পার্শ্ববর্তী মজা নদী বিদ্রোহ করে।

৫) কে গোয়ালে ইশারা পাঠায়?

উত্তর: সবুজ ঘাস গোয়ালে ইশারা পাঠায়।

৬) রাত্রিকে কীভাবে স্বাগত জানানো হয়?

উত্তর: সন্ধ্যাবেলায় শঙ্খধবনির মধ্যে দিয়ে রাত্রিকে স্বাগত জানানো হয়।

৭) কোথায় জনমত গড়ে ওঠে?

উত্তর: বুড়ো বটতলায় জনমত গড়ে ওঠে।

৮) ঠাকুমা কাকে, কখন গল্প শোনান?

উত্তর: রাত্রিবেলায় ঠাকুমা নাতনিকে গল্প শোনান।

৯) কোন্ গল্প তিনি বলেন?

উত্তর: ঠাকুমা দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ দিনগুলোর গল্প বলেন।

১০) সকালের আগমন কীভাবে ঘোষিত হয়?

উত্তর: সকালের আগমন পাখির গানের মধ্য দিয়ে ঘোষিত হয়।

১১) কবিতায় কোন্ কোন্ জীবিকার মানুষের কথা আছে?

উত্তর: কবিতায় কৃষক, কামার, কুমোের আর তাঁতির কথা আছে।

১২) এই কবিতায় বাংলার পল্লিপ্রকৃতির যে বর্ণনা আছে তা নিজের ভাষায় সংক্ষেপে লেখো।

উত্তর: 'চিরদিনের' কবিতায় পল্লিবাংলার একটি গ্রামের বর্ষাভেজা দিনের ছবি তুলে ধরেছেন কবি। সবুজ মাঠে ঘেরা শান্ত গ্রামটিতে চলার পথ বলতে মাঠের মাঝখানের আলপথই প্রধান। কাছেই জোড়া দিঘির পাড়ে রয়েছে তালগাছের সারি। বর্ষাকালে গোেটা গ্রাম যেন সবুজ ঘাগরা পরে অতিথিকে স্বাগত জানানোর জন্য তৈরি। গ্রামের পাশ দিয়ে একটি নদী বয়ে চলেছে। নদীটি অন্যসময় বুজে থাকলেও এখন বর্ষার জলে ভরে উঠেছে। শাঁখের আওয়াজে এখানে সন্ধ্যা নামে আর সকাল ঘোষিত হয় পাখিদের গানে। বর্ষার প্রকৃতিকে স্বাগত জানিয়ে গ্রামের মাঠে সবুজ ফসল ধরতে শুরু করেছে। এই ফসলের মধ্যে দিয়েই দুর্ভিক্ষকবলিত গ্রামে নতুন প্রাণের ছোঁয়া লাগে।

১৩) কবিতাটিতে গ্রামীণ মানুষের জীবনযাপনের যে ছবিটি পাও তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।

উত্তর: 'চিরদিনের' কবিতায় বর্ণিত শান্ত লাজুক গ্রামটিতে কৃষক পরিবারের সংখ্যা বেশি হলেও তাঁতি, কুমোের, কামার প্রভৃতি বিভিন্ন পেশার মানুষ সেখানে বাস করেন। এই গ্রামের জনজীবনে বিপর্যয় নিয়ে আসে দুর্ভিক্ষ। নাতনিকে বলা ঠাকুমার গল্পে সেই আকালের কথাই প্রকাশ পায়। অনেক মানুষ

দুর্ভিক্ষের সময় অভাবের তাড়নায় গ্রাম ত্যাগ করে চলে গেছে অন্য কোথাও। সেই স্বজনবিচ্ছেদের দুঃখ এবং দুর্ভিক্ষের যন্ত্রণাকে বুকে চেপে রেখে গ্রামের কিষাণ পাড়ার কৃষিজীবী মানুষজন আজও নতুন করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। কৃষকবধূরা ঢেঁকিতে ধান ভানে, নদীতে জল আনতে যায়। সেই গ্রামে সন্ধ্যায় প্রতিটি ঘরে জ্বলে ওঠে সন্ধ্যাপ্রদীপ, শঙ্খধবনির মধ্যে দিয়ে রাত্রিকে স্বাগত জানানো হয় সেখানে।

তাঁতি, কামার, কুমোররা নিজেদের কাজে লেগে পড়ে সকাল থেকেই আর সন্ধ্যাবেলায় সবুজ মাঠের আলপথ ধরেই তারা প্রায় বাড়ি ফিরে আসে। বুড়ো বটতলায় সমবেত হয়ে গল্প জুড়ে দেয় গ্রামবাসীরা। এরই মাঝে জল আনতে যাওয়ার পথে কৃষকবধূটি ঘোমটা সরিয়ে অবাক চোখে দেখে যে জমিতে সবুজ শস্য ফলতে আরম্ভ করেছে। কবির ধারণা, ওই সবুজ ফসলের মধ্যেই নিহিত রয়েছে সুবর্ণযুগ বা সুসময়ের আসার খবর।

১৪) আকাল ও দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে মানুষের সম্মিলিত শ্রম আর জীবনীশক্তি কীভাবে বিজয়ী হয়েছে, কবিতাটি অবলম্বনে তা বুঝিয়ে দাও। 

উত্তর: 'চিরদিনের' কবিতায় সদ্য দুর্ভিক্ষ কাটিয়ে ওঠা একটি শান্ত গ্রামের বর্ণনা দিয়েছেন কবি। আকালের ভয়ংকর দিনগুলোতে অনেক মানুষ গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়াতে গ্রামটি বর্তমানে এমন শান্ত হয়ে গেছে যে, মনে হয় যেন ব্যস্ত ঘড়ির কাঁটা এই গ্রামে এসে চিরতরে থেমে গেছে। দুর্ভিক্ষের ভয়ংকর যন্ত্রণা সহ্য করেও টিকে আছে কৃষক, কামার, কুমোর বা তাঁতি পরিবারগুলি।

সকালবেলা এদের ঘুম ভাঙে পাখির গানে এবং তারপর এরা যে যার নিজেদের কাজে লেগে পড়ে; কৃষক বধূরা ঢেঁকিতে ধান ভানে, জল আনতে যায়। আলপথ দিয়ে কৃষকরা ফিরে আসে নিজেদের ঘরে। সন্ধ্যাবেলায় ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে প্রদীপ, শঙ্খধ্বনিতে রাত্রিকে স্বাগত জানায় গ্রাম্যবধূরা। গ্রামবাসীরা বুড়ো বটতলায় জড়ো হয়ে গল্পগুজব করে।

এরই মাঝে, জল আনতে গিয়ে কৃষকবধূটি তার ঘোমটা সরিয়ে আচমকা দেখে ফেলে খেতের সবুজ ফসল। মন তার আনন্দে নেচে ওঠে এই ভেবে যে আর খাবারের অভাব হবে না। কবি ওই সবুজ ফসলের মধ্যে দিয়ে সুবর্ণযুগ বা সুসময় আসার খবর পান।

১৫) "কোনো বিশেষ সময়ের নয়, বরং আবহমান কালের বাংলাদেশ তার প্রকৃতি ও মানুষকে নিয়ে জীবনের যে জয়গান গেয়ে চলেছে, এই কবিতায় তারই প্রকাশ দেখতে পাই।"-উপরের উদ্ধৃতিটির সাপেক্ষে কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

উত্তর: 'চিরদিনের' কবিতাটিতে কবি একটি বৃষ্টিমুখর শান্ত গ্রামের ছবি এঁকেছেন। শান্ত সেই গ্রামটিতে পাখির গানের মধ্যে দিয়ে সকাল হলে কামার, কুমোর, তাঁতি, কৃষক-তাদের নিজেদের কাজে লেগে পড়ে। বৃষ্টিতে ভেজা গ্রামটি যেন সবুজ ঘাগরা পরে অতিথি কবিকে স্বাগত জানাচ্ছে। বিভিন্ন বৃত্তিভোগী মানুষের কাজের সম্মিলিত ধ্বনি সবুজ মাঠের ওপর দিয়ে শোনা যায়। কৃষকবধূরা ঢেঁকিতে ধান ভানে, ঘরে জল আনে, সন্ধেবেলায় ঘরে প্রদীপ জ্বালে, শঙ্খধ্বনিতে রাত্রিকে স্বাগত জানায়। সন্ধেবেলায় আলপথ ধরে কৃষকরা ঘরে ফিরে আসে, বুড়ো বটতলায় জড়ো হয়ে গল্পগুজব করে গ্রামবাসীরা।

রাতের অন্ধকারে দাওয়ায় বসে ঠাকুমা তার নাতনিকে গল্প শোনান যে কীভাবে গ্রামে আকাল এসেছিল। এরমধ্যেই এক সময় জল আনবার পথে, থমকে দাঁড়িয়ে কৃষকবধূ ঘোমটা সরিয়ে একঝলক দেখে নেয় খেত-ভরা সবুজ ফসল। কবি বিশ্বাস করেন, ওই সবুজ ফসলের হাত ধরেই সুবর্ণযুগ আসছে। এসব ছবি চিরন্তন, চিরকালের, তাই বলা যায় কবিতার 'চিরদিনের' নামকরখটি সর্বৈব সার্থক।

১৬) "তবু এখানে যে পথ হাঁটা।"-এই পথ কীভাবে তৈরি হয়?

উত্তর: সবুজ মাঠের ভিতর দিয়ে এই পথ তৈরি হয়।

১৭) গ্রাম কী পরে থাকে?

উত্তর: গ্রাম সবুজ ঘাগরা পরে থাকে।

১৮) আলপথ কী করে?

উত্তর: আলপথ কিষাণকে ঘরে পাঠায় অর্থাৎ আলপথ দিয়ে কিষাণ ঘরে ফেরে।

১৯) গ্রামের পাশের মজা নদী কী করে?

উত্তর: গ্রামের পাশের মজা নদী বর্ষায় বিদ্রোহ করে। ২০)"বুড়ো বটতলা পরস্পরকে ডাকে"-এই ডাকার কারণ কী?

উত্তর: বুড়ো বটতলা জনমত তৈরির জন্য পরস্পরকে ডাকে।

২১)"এখানে বৃষ্টিমুখর লাজুক খাঁয়ে"- বৃষ্টিমুখর গ্রামকে এখানে লাজুক বলা হয়েছে কেন? 

উত্তর: লজ্জা মানুষকে চারপাশ থেকে একলা এবং বিচ্ছিন্ন করে রাখে। সেরকমই বৃষ্টিমুখর গ্রামে বৃষ্টির জল পড়ে সমস্ত গাছপালা অবনত হয়ে থাকে, মানুষজন ঘরে থাকায় চারপাশ নির্জন হয়ে যায়। -এইসব মিলিয়ে যে পরিবেশ তৈরি হয় কবি তার সঙ্গে লাজুক স্বভাবের মিল খুঁজে পেয়েছেন।

২২) "পথ নেই, তবু এখানে যে পথ হাঁটা।"-এর মধ্যে দিয়ে কবি কী বলতে চেয়েছেন?

উত্তর: সুকান্ত ভট্টাচার্য 'চিরদিনের' কবিতায় এই মন্তব্যটি করেছেন। বৃষ্টিমুখর লাজুক গ্রামে মানুষের জীবন চলে শান্ত এবং ধীরগতিতে। ব্যস্ততাহীন সেই জীবনে মানুষ চলে তার নিজস্ব ভঙ্গিতে। কোনো নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্য নেই এখানে। পাকা রাস্তাঘাটও নেই। কিন্তু মানুষের জীবন তাতে থেমে থাকে না। আলপথ ধরেই গ্রামের মানুষ ও কৃষিনির্ভর গ্রামজীবন তার নিজস্ব ছন্দে এগিয়ে চলে।

২৩) "এ গ্রাম নতুন সবুজ ঘাগরা পরে।"- কবিকে অনুসরণ করে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: বর্ষার জল পেয়ে গ্রামে সবুজের সমারোহ দেখা যায়। গ্রামের পাশের ল] মজা নদী বর্ষায় বিদ্রোহ করে আর সবুজ ঘাসে চারপাশ ভরে যায়। সবুজের এই বিস্তার দেখে কবির মনে হয়েছে যে গ্রামটি যেন সবুজ ঘাগরা পরেছে।

২৪)"সবুজ ফসলে সুবর্ণ যুগ আসে।" -কে সুবর্ণযুগ দেখে?

উত্তর: কৃষকবধূ সবুজ ফসলে সুবর্ণযুগ আসতে দেখেছিল।

২৫) 'চিরদিনের' কবিতায় গ্রামীণ সন্ধে আর রাতের যে ছবিটি পাও তা নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর: 'চিরদিনের' কবিতায় সন্ধ্যাবেলার শঙ্খধ্বনি রাত্রিকে আহ্বান করে। সন্ধ্যার সময় বুড়ো বটতলায় মানুষের জমায়েত হয়, প্রতি ঘরে প্রদীপ জ্বলে।

আর রাত্রি হলে দাওয়ার অন্ধকারে ঠাকুমা নাতনিকে গল্প শোনায়।

 ২৬) 'চিরদিনের' কবিতায় আশার ইঙ্গিত আছে এমন জায়গাগুলি উল্লেখ করো।

উত্তর: 'চিরদিনের' কবিতায় দুর্ভিক্ষকে অতিক্রম করে গ্রামে সবুজের ছোঁয়া লাগে, সন্ধ্যায় শাঁখ বাজে, বটতলায় মানুষের জমায়েত হয়। গ্রামের লোকেরা কাজ করতে থাকে। কৃষকবধূরা ঢেঁকিতে ধান ভানে। কামার-কুমোর-তাঁতিরা সকলে কাজ শুরু করে। আর এর মধ্য দিয়েই দুর্ভিক্ষপীড়িত গ্রামে 'সবুজ ফসলে সুবর্ণ যুগ আসে'।

২৭) 'চিরদিনের' কবিতাটি অবলম্বনে দুর্ভিক্ষের আঁচল জড়ানো গ্রামের বর্ণনা দাও।

অথবা, "দুর্ভিক্ষের আঁচল জড়ানো গায়ে এ গ্রামের লোক আজও সব কাজ করে"-উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য লেখো।

উত্তর: দুর্ভিক্ষের আঁচল জড়ানো গায়ে গ্রামের লোকেরা তাদের সব কাজ করে যায়। কৃষকবধূরা ঢেঁকিতে ধান ভানে, সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বলে। আর রাত্রি হলে দাওয়ার অন্ধকারে বসে ঠাকুমা নাতনিকে যে গল্প শোনায় তাতে থাকে গতবার আকালে মানুষের গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার কাহিনি।

২৮) গ্রামে প্রতি সন্ধ্যায় কী হয়?

উত্তর: গ্রামে প্রতি সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বলে।

২৯) "রাত্রি হলেই দাওয়ার অন্ধকারে"-রাত্রি হলেই দাওয়ার অন্ধকারে কী হয়?

উত্তর: রাত্রি হলেই দাওয়ার অন্ধকারে বসে ঠাকুমা তার নাতনিকে গল্প শোনায়।

৩০) কৃষকবধূ থমকে দাঁড়ায় কেন?

উত্তর: সবুজ ফসলের সমারোহে এক সুবর্ণযুগকে আসতে দেখে কৃষকবধূ থমকে দাঁড়ায়।

আরও পড়ো- 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area