Ads Area


স্মৃতিচিহ্ন (কামিনী রায়) প্রশ্ন ও উত্তর || সপ্তম শ্রেণীর বাংলা || Smrticihna Questions And Answers

 স্মৃতিচিহ্ন
(কামিনী রায়)

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই আর্টিকেলে আমরা Class 7 এর বাংলা বইয়ের কবিতা স্মৃতিচিহ্ননের প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের সপ্তম শ্রেনীর পাঠ্যবইতে কবি কামিনী রায় এর লেখা কবিতা স্মৃতিচিহ্ন  রয়েছে। এই কবিতা থেকে কিছু প্রশ্নপত্র  রয়েছে তার সমাধান আমরা এখানে করে দিলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

সপ্তম শ্রেণীর বাংলা || স্মৃতিচিহ্ন(কামিনী রায়) প্রশ্ন ও উত্তর || Smrticihna Questions And Answers


সপ্তম শ্রেণীর বাংলা || স্মৃতিচিহ্ন(কামিনী রায়) প্রশ্ন ও উত্তর || Smrticihna Questions And Answers


১) অত্যাচারী কোন্ কোন্ সাম্রাজ্যলোভী জাতির কথা তুমি ইতিহাস পড়ে জেনেছ?

উত্তর: এশিয়ার শক, চুন, পাঠান, মোঘল, ইউরোপের ইংরেজ, ফরাসি, ডাচ, জার্মান প্রভৃতি জাতি সম্রাজ্যলোভী জাতি হিসেবে ইতিহাসের পাতায় চিহ্নিত হয়ে আছে।

২) মহৎ মানুষদের জীবনকথা আমরা কেন পাঠ করে থাকি?

উত্তর: 'মহৎ' শব্দের অর্থ উদার। যেসব মানুষ অন্য মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করে থাকেন, তাঁরাই মানবসভ্যতার ইতিহাসে মহৎ মানুষ হিসেবে বিবেচিত হন। বিদ্যাসাগর, গৌতম বুদ্ধ, স্বামী বিবেকানন্দ প্রমুখ আমাদের দেশের মহৎ মানুষ। সেইসব মহৎ মানুষের জীবনকথা আমরা পাঠ করে থাকি নিজেদের মনকে আরও উদার বা মহৎ করে তোলার জন্য এবং জনহিতকর কাজে নিঃস্বার্থভাবে নিজেকে নিয়োগ করার উৎসাহ লাভের জন্য।

৩) অতীত ইতিহাসের ধূসর হয়ে আসা কোন্ স্মারক/সৌধ/মিনার তুমি দেখেছ?

উত্তর: অতীত ইতিহাসের ধূসর হয়ে আসা সৌধগুলির মধ্যে গৌড়ের রাজপ্রাসাদ আমি দেখেছি। এ ছাড়া কুতুব মিনার, শহিদ মিনার, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল ইত্যাদিও দেখেছি।

৪) 'স্মৃতিচিহ্ন' কবিতাটি কার রচনা?

 উত্তর: 'স্মৃতিচিহ্ন' কবিতাটি উনিশ শতকের বিশিষ্ট মহিলা-কবি কামিনী অমা রায়ের রচনা।

৫) কবিতাটি তাঁর কোন্ কাব্যের অন্তর্ভুক্ত?

 উত্তর: কবিতাটি তাঁর 'নির্মাল্য' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।

৬) কবিতাটি কী জাতীয় রচনা?

 উত্তর: কবিতাটি একটি 'নীতিমূলক' কবিতা।

৭) কবিতায় কবি কাদের 'মূঢ়' ও 'ব্যর্থ' মনস্কাম' বলেছেন?

 উত্তর: মানবসভ্যতার ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে কবি সাম্রাজ্যলোভী শাসকদের, একইসঙ্গে তীব্র যশোলাভী ব্যক্তিদের মূঢ় ও ব্যর্থ মনস্কাম বলেছেন।

৮) তাদের স্মৃতি কীভাবে লুপ্ত হয়ে যায়?

উত্তর: কবির উপলব্ধি অনুযায়ী সাম্রাজ্যলোভী শাসকরা মানুষের মঙ্গলের জন্য এমন কোনো স্মরণীয় কাজ করে যাননি, যা মানুষ চিরকাল মনে রাখবে। তাই ওই অট্টালিকা বা জয়স্তম্ভগুলি শাসকদের বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অবহেলিত হতে থাকে এবং একসময় তা কালের নিয়মে ধ্বংস হয়ে যায়। 

৯) কারা মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন লাভ করে?

উত্তর: যেসব মহান ব্যক্তি মানুষের মঙ্গলের জন্য জনহিতকর কাজ বা সমাজসংস্কারমূলক কাজ করে গেছেন, তাঁরাই মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন লাভ করেছেন।

১০) 'কাল'-কে কবিতায় কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

উত্তর: 'কাল' কথাটির অর্থ হল 'সময়'। কবি কামিনী রায় এই কবিতায় 'কাল'কে জলের স্রোতের সঙ্গে তুলনা করে তার নিত্য প্রবহমানতাকে ইঙ্গিত করেছেন।

১১) কবিতায় 'শুষ্ক তৃণ' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? 

উত্তর: কবিতায় 'শুষ্ক তৃণ' বলতে কবি সাম্রাজ্যলোভী শাসকদের নাম বা স্মৃতিকে বুঝিয়েছেন।

১২)"ওরা ভেবেছিল মনে..." কাদের কথা বলা হয়েছে? তারা কী ভেবেছিল?

উত্তর: 'স্মৃতিচিহ্ন' কবিতায় 'ওরা' বলতে শাসকদের কথা বলা হয়েছে।

সাম্রাজ্যলোভী শাসকরা নিজের ক্ষমতাবলে সাম্রাজ্যের সীমানা বাড়িয়েছেন। ক্ষমতার দম্ভ প্রকাশ করতে নির্মাণ করেছেন সুন্দর প্রাসাদ। মনে করেছেন, তাঁরা যখন পৃথিবীতে থাকবেন না, তখন তাঁদের তৈরি অট্টালিকাগুলি চিরকাল তাদের বিজয়কীর্তিরূপে অক্ষত থেকে তাঁদের নামকে অমর করে রাখবে।

১৩)তোমার দৃষ্টিতে কাদের কথা সমাজের সকলের চিরকাল মনে রাখা উচিত? 

উত্তর: যেসব মহাপুরুষ বা মহৎ মানুষ সমাজের সব শ্রেণির মানুষের উপকারের জন্য, সমাজসংস্কারের জন্য এমন কিছু কাজ করে গেছেন, যে কাজের সুফল আমরা এখনও ভোগ করে চলেছি- তাঁদের কথা সমাজের চিরকাল মনে রাখা উচিত। এ ছাড়া, মনে রাখা উচিত শ্রমজীবী মানুষের কথাও, সমাজের কল্যাণে যাদের আত্মনিয়োগের কোনো তুলনা নেই।

১৪) মানুষ নিজেকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় কেন?

'উত্তর: মানুষ চায় সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে তার নামটাও চিরকালের জন্য অমর হয়ে থাকুক। আগামী যুগে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার ইচ্ছা প্রত্যেক মানুষের মধ্যে তীব্র বলেই মানুষ নিজেকে ভবিষ্যতের মানুষের কাছে স্মরণীয় করে রাখতে চায়। সাম্রাজ্যবাদী শাসকরা এই কারণেই সৌধ নির্মাণ করে, নিজেকে ইতিহাসের পাতায় অমর রাখতে চায়। যদিও শেষ-অবধি যেসব মানুষ সমাজের মঙ্গল সাধনায় আত্মনিয়োগ করেন, তাঁরাই অমরত্ব পান।

১৫)"মূঢ় ওরা"- কবিতায় তাদের মূঢ় বলার কারণ কী? 

উত্তর: কবিতায় অতীতের সাম্রাজ্যলোভী শাসকদের 'মুড়' বলেছেন কবি। কারণ, ওই শাসকরা ক্ষমতাবলে সাম্রাজ্য জয় করলেও সাধারণ মানুষের মঙ্গলের কথা ভাবেননি এবং তাই ক্ষমতার বলে নির্মিত তাদের অট্টালিকাগুলি মানুষের মনকে এতটুকু স্পর্শ করেনি। তাই শাসকদের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে ওই অট্টালিকাগুলি মানুষের অবহেলাতেই আস্তে আস্তে ধবংসপ্রাপ্ত হয়েছে। ওই শাসকরা 'মূঢ়', কারণ এই কথাটি তারা বুঝতে পারেননি যে, এই পার্থিব জীবনে কেবল পার্থিব স্মৃতিচিহ্ন নির্মাণ করে মানুষ অমরত্ব লাভ করতে, পারে না, কালের নিয়মেই তাদের সব স্মৃতিস্তম্ভই একদিন ধুলোয় মিশে যাবে।

১৬)"কেবা রক্ষা করে"-কী রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে? তা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না কেন?

উত্তর: সাম্রাজ্যবাদী বিজয়স্তম্ভগুলিকে রক্ষা করার কথাই প্রশ্নের উদ্ধৃত অংশে বলা হয়েছে।

 সাম্রাজ্যবাদী শাসককুল ওইসব অট্টালিকা তৈরি করে ভেবেছিলেন যে সেগুলি চিরকাল তাদের নির্মাতার নাম অমর করে রাখবে। কিন্তু শাসককুল বুঝতে পারেননি যে, মানুষের উপকারের জন্য, মানুষকে ভালোবেসে তারা ওইসব কাজ করে যাচ্ছে না। তাই ভবিষ্যতের মানুষও ওই অট্টালিকাগুলি রক্ষা করতে সচেষ্ট হবে না এবং সেগুলি আস্তে আস্তে ধ্বংস হয়ে যাবে।

 ১৭) "দরিদ্র আছিল তারা"- কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের রাজত্ব কীভাবে অক্ষুণ্ণ রয়েছে বলে কবি মনে করেন?

উত্তর: যেসব মহৎপ্রাণ মানুষ মানুষকে ভালোবেসে তাঁদের সীমিত ক্ষমতা বা সাধ্যে মানুষের জন্য ভালো কাজ করে নিজেদের অমর করে গেছেন, সেইসব পরোপকারী মানুষের কথা বলা হয়েছে।

মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসা, মানুষকে মানুষ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া, মানুষের জন্য ভালো কিছু করে যাওয়ার মধ্যেই মানুষের নাম অমর হয়ে থাকে। শাসকের ঐশ্বর্য এইসব মানুষের না থাকলেও সভ্যতা ও মানবতাকে এঁরাই সমৃদ্ধ করেন। মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায়-স্মরণে এঁদের রাজত্ব চিরকালের জন্য অক্ষুণ্ণ থাকবে বলে কবি মনে করেন।

 ১৮) কালস্রোতে কাদের নাম ধুয়ে যায়? সেই স্রোত কাদের স্মৃতি গ্রাস করতে পারে না?

উত্তর: মানবসভ্যতার ইতিহাসে সাম্রাজ্যলোভী মানুষদের নাম কালস্রোতে ধুয়ে যায়। এর কারণ মানুষের কথা মনে রেখে মানুষের জন্য কোনোরকম হিতকর কাজ তারা করে যাননি।

সময়ের স্রোত বা কালস্রোত সেইসব মহান মানুষের স্মৃতি গ্রাস করতে পারে না, যাঁরা তাঁদের সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও মানুষের জন্য ভালো কাজ করে যেতে প্রয়াসী হন। মানুষ তাঁদের চিরকাল মনে রাখে, ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে এবং সেজন্যই কালস্রোত তাঁদের স্মৃতি গ্রাস করতে পারে না।

১৯)"মানব-হৃদয়-ভূমি করি অধিকার"- কারা কীভাবে মানব হৃদয়-ভূমি অধিকার করে?

উত্তর: 'মানব-হৃদয়-ভূমি' বলতে কবি মানুষের হৃদয়কে বুঝিয়েছেন। মহান মানুষেরা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের উপকারের জন্য কাজ করে যান। এই ভালো কাজের মধ্যে দিয়ে মহান মানুষেরা মানুষের মন বা মানব-হৃদয়-ভূমি চিরকালের জন্য অধিকার করে নেন।

২০) কবিতায় কবি 'কোন্ 'স্মৃতি'-কে কেন অবিনশ্বর ও 'নিত্য সমুজ্জ্বল' বলেছেন?

উত্তর: 'অবিনশ্বর' শব্দটির অর্থ হল 'অমর', 'অক্ষয়', 'শাশ্বত' বা মৃত্যু বা ক্ষয় নেই এমন কিছু। পাশাপাশি 'নিত্য সমুজ্জল' কথাটির অর্থ হল 'প্রতিদিন অত্যন্ত উজ্জ্বল হয়ে থাকা'। মহান মানুষেরা মানবজাতির মঙ্গল করার জন্য এমন কিছু কাজ করে যান যেসব কাজ হয়ে ওঠে অবিনশ্বর কীর্তি। কবি কামিনী রায় মহান মানুষের সমাজহিতকর ও মহৎ কাজের স্মৃতিকে এই কারণেই 'নিত্য সমুজ্জ্বল' বলেছেন।

২১) তোমার দৃষ্টিতে মানুষের স্মরণীয় হয়ে থাকার শ্রেষ্ঠ পন্থাটি কী?

উত্তর: কবি কামিনী রায় তাঁর 'স্মৃতিচিহ্ন' কবিতাটিতে চিরকালীন জীবনসত্যকে প্রকাশ করেছেন। এই জীবনসত্যটি হল মানুষ কেবলমাত্র অমরত্ব লাভ করে তার ভালো, জনহিতকর কাজের জন্যই। ক্ষমতার দম্ভ, সম্পদের অহংকার মানুষকে কখনোই অমরত্ব দান করতে পারে না। মানুষকে ভালোবাসলে, সম্মান দিলে, মানুষের জন্য নিজের জীবন আহুতি দিলে, জনহিতকর কাজ করলে তবেই এই সব মহান কমীর নাম মানুষ চিরকাল মনে রাখে।

২২) কামিনী রায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?

উত্তর: কামিনী রায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম 'আলো ও ছায়া'।

২৩) 'হ্য' শব্দটির অর্থ কী?

উত্তর: 'হর্য্য' শব্দটির অর্থ অট্টালিকা।

২৪) "মূঢ় ওরা, ব্যর্থ মনস্কাম!" -কবিতায় কাদের 'মূঢ়' বলা হয়েছে?

উত্তর: যে শাসকেরা ইটপাথরে রচিত অট্টালিকা নির্মাণ করে ভেবেছিলেন নিজেদের অমর করে রাখবে, তাদেরকেই 'মূঢ়' বলা হয়েছে।

২৫) "ওরা ভেবেছিল মনে..."-কী ভাবার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: 'ওরা' অর্থাৎ শাসকরা ভেবেছিলেন মনোহর অট্টালিকা স্থাপনের মধ্য দিয়ে তাঁরা নিজেদের নাম চিরস্থায়ী করে রেখে যাবে।

২৬) "তাহাদের তলে লুপ্ত স্মৃতি..."-কোথায় স্মৃতি লুপ্ত হয়েছে?

উত্তর: চারিদিকে পড়ে থাকা ভগ্নস্তূপের তলায় স্মৃতি লুপ্ত হয়ে আছে।

২৭) 'স্মৃতিচিহ্ন' কবিতায় কাদের স্মৃতি লুপ্ত হয়ে যায়? কীভাবে এই লুপ্ত হওয়ার ঘটনাটি ঘটে? 

উত্তর: যেসব শাসক ক্ষমতাশালী স্মৃতিসৌধ তৈরি করে নিজেদের অমর করে রাখতে চান, তাদের স্মৃতি অবলুপ্ত হয়ে যায়।

 স্মৃতিসৌধের পাথর কালের নিয়মে খসে পড়ে। এভাবে পাথরের স্তূপ তৈরি হয়। আর সেই স্তূপের তলায় লুপ্ত হয়ে যায় স্মৃতি।

২৮)'স্মৃতিচিহ্ন' কবিতায় ওরা মনে কী ভেবেছিল, কিন্তু পরিশেষে কাঁ হয়েছিল?

উত্তর: 'স্মৃতিচিহ্ন' কবিতায় 'ওরা' অর্থাৎ শাসক শক্তিরা ভেবেছিলেন সুন্দর 'অট্টালিকা নির্মাণ করে নিজেদের নাম অক্ষয় করে রাখবেন। কিন্তু তাদের মনোবাসনা ব্যর্থ হয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাথর খসে সেই পাথরের স্তূপের তলায় তাদের স্মৃতি অবলুপ্ত হয়েছিল।

২৯) "প্রস্তর খসিছে ভূমে প্রস্তরের 'পরে'-কোন্ প্রসঙ্গে এটি লেখা হয়েছে?

উত্তর: সাম্রাজ্যলোভী মানুষরা বড়ো বড়ো অট্টালিকা বা বিজয়স্তম্ভ নির্মাণ করে ভেবেছিলেন এগুলির নির্মাতা হিসেবে তাঁদের নাম চিরকালের জন্য অমর হয়ে থাকবে। কিন্তু তাঁদের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই ওই অট্টালিকাগুলি অবহেলিত হতে শুরু হয়। কারণ ওইসব শাসকগণ মানুষের জন্য এমন কিছু করেননি যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাঁদের মনে রাখবে। তাই কালক্রমে সেই অট্টালিকা থেকে একটি একটি করে পাথর খসে পড়তে থাকে। ব্যর্থ হয়ে যায় সাম্রাজ্যলোভী শাসকদের অমরত্ব লাভের স্বপ্ন। প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশে সেই কথাই বলা হয়েছে।

৩০)"দরিদ্র আছিল তারা।"—কাদের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: যারা মানুষের মন জয় করে নিজেদের স্থান অক্ষয় করে তুলেছেন তাঁদের কথা বলা হয়েছে।

৩১) দরিদ্রদের রাজত্ব কীভাবে অক্ষুণ্ণ থাকবে?

উত্তর: কাল-স্রোতে ধুয়ে যাওয়া সত্ত্বেও দ্ররিদ্র সম্বলহীন মানুষদের নাম সমুজ্জ্বল হয়ে থাকবে এবং তাদের রাজত্ব অক্ষুণ্ণ থাকবে।

৩২) 'স্মৃতিচিহ্ন' কবিতাটি কার লেখা? 

উত্তর: 'স্মৃতিচিহ্ন' কবিতাটি কামিনী রায়ের লেখা।

৩৩) "দরিদ্র আছিল তারা, ছিল না সম্বল"-কার লেখা কোন্ কবিতার অংশ? অংশটির তাৎপর্য লেখো।

উত্তর: প্রশ্নোদ্ভূত উদ্ধৃতিটির কবি কামিনী রায়ের 'স্মৃতিচিহ্ন' কবিতাটির অংশ।

 উদ্ধৃতিটির মধ্য দিয়ে কবি বোঝাতে চেয়েছেন, অর্থ এবং সম্পদ রাশীকৃত করে তুললেই চিরস্থায়ী কীর্তির অধিকারী হওয়া যায় না। ইতিহাসের সাক্ষ্য নিয়ে কবি দেখিয়েছেন, সাম্রাজ্যলোভী শাসকরা নিজেদের কীর্তিকে অতুল করে তুলতে যেসব মনোরম প্রাসাদ ও অট্টালিকা নির্মাণ করেছিলেন, সেসবই কালের গর্ভে বিলান হয়ে গেছে। অন্যদিকে দরিদ্র মানুষরা তাদের সীমিত অর্থসামর্থ্যে ও মহৎ হৃদয়ের প্রেরণায় যেসব জনহিতকর কাজ করে গেছেন, তার দ্বারাই তাঁরা মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন অধিকার করেছেন।

আরও পড়ো- 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area