Ads Area


দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ || বাক্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর || Class-10 Questions Answers

 (তৃতীয় অধ্যায়) বাক্য

প্রিয় মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর,

জীবিকা দিশারি ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা ব্যাকরণ বইয়ে তৃতীয় অধ্যায় বাক্য থেকে প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। এই অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর সমাধানের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের এই অধ্যায় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে।

দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ || বাক্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর || class-10 Questions Answers


দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ || বাক্য (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর || Class-10 Questions Answers


১) বাক্য নির্মাণের শর্ত তিনটি কী কী?

উত্তর: বাক্য নির্মাণের তিনটি শর্ত যোগ্যতা, আকাঙ্ক্ষা ও আসত্তি।

২) বাক্যের যোগ্যতা কীসের উপর নির্ভর করে?

উত্তর: সংগত এবং যথাযথ ভাব প্রকাশের উপরেই বাক্যের যোগ্যতা নির্ভর করে। অর্থাৎ 'সে চোখ দিয়ে শোনে' বললে বাক্য তার যোগ্যতা হারায়। কেননা চোখ দিয়ে শোনা যায় না বা শোনার যোগ্যতা চোখের নেই।

৩) একটি যোগ্যতাহীন বাক্যের উদাহরণ দাও। 

উত্তর: খুব গরমে বরফ পড়তে শুরু করল। (ভুল বাক্য। অর্থ বা ভাবগত সংগতি নেই। গরমে বরফ পড়তে পারে না। তাই বাক্যটির যোগ্যতা নেই।)

৪) বাক্যের আকাঙ্ক্ষা বলতে কী বোঝ?

উত্তর: বাক্যের সামান্য অংশ বললে বাকিটুকু বলবার জন্য বক্তার যেমন আগ্রহ থাকে, ঠিক তেমনই বাক্যের অর্থ বোঝার জন্য একটি পদ শোনার পর অন্য অংশটি শোনার জন্য শ্রোতার মনেও একটি আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। বাক্যে ব্যবহৃত পদসমূহ যদি এই আগ্রহ পূর্ণ করে, তবে সেই বাক্যটির আকাঙ্ক্ষা আছে বুঝতে হয়।

৫) আকাঙ্ক্ষাহীন বাক্যের একটি উদাহরণ দাও।

উত্তর: আমার গ্রামে। (ভুল বাক্য কেননা ভাবনাটি অসম্পূর্ণ। এই নত বাক্যটি পড়ে মনের কৌতূহল পূরণ হয় না। তাই বাক্যটির। আকাঙ্ক্ষা নেই।)

৬) বাক্যের নৈকট্য বা আসত্তি বলতে কী বোঝ?

উত্তর: বাক্যের পরস্পর সম্পর্কযুক্ত পদসমষ্টিকে যথাস্থানে সন্নিবেশিত করাকেই আসত্তি বা নৈকট্য বলা হয়।

৭) একটি আসত্তিহীন বাক্যের উদাহরণ দাও।

উত্তর: সে গেল সঙ্গে ভাইকে নিয়ে গ্রামে। (ভুল বাক্য। এখানে পদগুলি যথাস্থানে নেই। এলোমেলোভাবে স্থাপিত, তাই এটি আসত্তিহীন বাক্য।)

৮) পূর্ণাকাঙ্ক্ষ্য পদ বলতে কী বোঝ? একটি উদাহরণ দাও। 

উত্তর: শ্রোতা ও বক্তার মনের আগ্রহ পূর্ণ করে, এমন আকাঙ্ক্ষাযুক্ত বাক্যে ব্যবহৃত পদগুলিকে বলে পূর্ণাকাঙ্ক্ষ্য পদ। যেমন: আমরা মাঠে গিয়ে খেলায় যোগ দিলাম।

৯) বাক্যের প্রধান অংশ দুটি কী কী?

উত্তর: বাক্যের প্রধান দুটি অংশ উদ্দেশ্য ও বিধেয়।

১০) সরল বাক্য বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও। 

উত্তর: যে বাক্য একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া (উক্ত বা উহ্য) এবং এক বা একাধিক অসমাপিকা ক্রিয়াযুক্ত কিংবা অসমাপিকা ক্রিয়াহীন হয়, আর অন্য বাক্যের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে স্বতন্ত্রভাবে অবস্থান করে, তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন: মেয়েটি মাঠে খেলছে।

১১) উদ্দেশ্য ও বিধেয় বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও। 

উত্তর: বাক্যে যার সম্পর্কে বা সম্বন্ধে কিছু বলা হয়, সেই অংশটি। উদ্দেশ্য, আর উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলা হলে, তাকে বিধেয়। ভরি (ক্রিয়া) বলে। যেমন: সকলে খেলছে। — এই বাক্যে 'সকলে' হল উদ্দেশ্য এবং 'খেলছে' হল বিধেয়।

১২) 'সকলে খেলছে।' -এই বাক্যটির উদ্দেশ্য ও বিধেয়র সম্প্রসারণ ঘটাও। 

উত্তর: বিদ্যালয়ের খেলাধুলোয় পারদর্শী (সম্প্রসারক) সকলেই - (উদ্দেশ্য) খেলার মাঠে (সম্প্রসারক) খেলছে (বিধেয়)।

১৩) বাক্য সংগঠনকে প্রধান কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?

 উত্তর: বাক্য সংগঠনকে বিশেষ্য খন্ড, ক্রিয়াবিশেষণ খণ্ড ও - ক্রিয়াখণ্ড-এই তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা চলে।

১৪) বাক্যের বিশেষ্য খণ্ডটি কীভাবে গড়ে ওঠে? 

উত্তর: বিশেষ্য খন্ডের ক্ষেত্রে বিশেষ্যকে আক্ষরিক অর্থে গ্রহণ করা ঠিক নয়। বিশেষ্যের বিকল্প হিসেবে সর্বনামও থাকতে পারে। আবার বিশেষ্যের সঙ্গে বিশেষণ, সম্বন্ধপদ, যোজক প্রভৃতি যুক্ত। হয়ে বিশেষ্য খণ্ড গড়ে ওঠে। 

১৫) বাক্যের ক্রিয়াবিশেষণ খন্ডের মধ্যে কী কী থাকতে পরে?

উত্তর: বিভিন্ন কারকবাচক পদ, অসমাপিকা ক্রিয়া, যোজক প্রভৃতিকে অবলম্বন করে ক্রিয়াবিশেষণ খন্ড তৈরি হয়। 

১৬) যৌগিক বাক্য বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।

উত্তর: দুই বা ততোধিক সরল বাক্যের অর্থ এবং গঠন প্রায় অপরিবর্তিত রেখে, তাকে যোজক পদের সাহায্যে যুক্ত করে যে নতুন বাক্য তৈরি হয়, তা হল যৌগিক বাক্য। যেমন: সময় নষ্ট না করে আঁকো অথবা গল্প লেখো।

১৭) জটিল বাক্য বলতে কী বোঝ? 

উত্তর: যে বাক্যে প্রধান খন্ডবাক্যের সঙ্গে এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য যখন পরিপূরক সম্পর্কে এমনভাবে যুক্ত হয় যাতে অপ্রধান খন্ডবাক্যগুলিকে প্রধান খণ্ডবাক্যটির আশ্রিত বা অধীনস্থ বলে মনে হয়, তখন তাকে জটিল বাক্য বলে।

১৮) যৌগিক বাক্য ও জটিল বাক্যের একটি পার্থক্য লেখো। 

উত্তর: যৌগিক বাক্যের খণ্ডবাক্যগুলি স্বাধীন ও অর্থপূর্ণ, কিন্তু জটিল বাক্যের খণ্ডবাক্যগুলির মধ্যে পরিপুরক সম্পর্ক থাকে।

১৯) জটিল বাক্যের অপ্রধান খণ্ডবাক্যগুলি কয় প্রকার ও কী কী? 

উত্তর: অপ্রধান খন্ডবাক্যের তিনটি শ্রেণি হওয়া সম্ভব (প্রধান খণ্ডবাক্যের সঙ্গে অপ্রধান খন্ডবাক্যের সংযোগের বিচারে)।(১) বিশেষ্যধর্মী-তুমি যে আসবে না, আমি জানতাম। (২) বিশেষণধর্মী-যে লেখাগুলো লিখতে বলেছিলাম সেগুলো উ লিখেছ? (৩) ক্রিয়াবিশেষণধর্মী-যদি তোর ডাক শুনে কেউ নাও আসে তবে একলা চলো রে।

২০) নির্দেশক বাক্য কাকে বলে?

উত্তর: যে বাক্যের সাহায্যে কোনো কিছুকে নির্দেশ করা, বিবৃত করা নই কিংবা কোনো ঘটনার উল্লেখ প্রভৃতি করা হয়ে থাকে, তাকে ন নির্দেশক (বা নির্দেশাত্মক বা নির্দেশসূচক) বাক্য বলে।

২১) অস্ত্যর্থক বাক্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর: যে নির্দেশক বাক্য কোনো ঘটনার উল্লেখ, প্রকাশ প্রভৃতি সম্পর্কে ইতিবাচক বা সদর্থক বা স্বীকৃতিসূচক তথ্য দেয় তাকে অস্ত্যর্থক বাক্য বা সদর্থক বা ইতিবাচক বা হ্যাঁ-বাচক বাক্য বলে। যেমন-ছেলেরা নীরব থাকে।

২২) নঞর্থক বাক্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও। 

উত্তর: যে সমস্ত নির্দেশক বাক্যে বারণ, নিষেধ, অস্বীকৃতি বা অনিচ্ছা প্রকাশ করা হয়, তাকে নঞর্থক (বা নেতিবাচক বা না-বাচক বাক্য) বাক্য বলে। যেমন-ছেলেরা কিছু বলে না। 

২৩) প্রশ্নবাচক বাক্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর:যে বাক্যের সাহায্যে মনের জিজ্ঞাসা বা প্রশ্নকে ফুটিয়ে তোলা যায়, তাকে প্রশ্নবাচক বাক্য বলে। মনে রাখবে সাধারণত কি, কী, কে, কেন, কার প্রভৃতি প্রশ্নসূচক শব্দের সাহায্যে প্রশ্নবাচক বাক্য নির্দেশিত হয় এবং বাক্যের শেষে প্রশ্নবোধক চিহ্নের (?) ব্যবহার ঘটে। যেমন-তুমি এলে কেন?

২৪) অনুজ্ঞাসূচক বাক্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর: যে সমস্ত বাক্যে আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ, মিনতি, নিষেধ, পরামর্শ প্রভৃতি অনুজ্ঞার ভাব ব্যক্ত হয় তাকে অনুজ্ঞাসূচক বাক্য বলে। এই বাক্যে সচরাচর 'তুমি' পক্ষটি উহ্য থাকে। যেমন-আয় বুঝে ব্যয় করো (উপদেশ)। কখনও অন্যায় কাজ করো না (নিষেধ)।

২৫) প্রার্থনাসূচক বাক্য বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও। 

উত্তর: যে বাক্যের দ্বারা বস্তার মনের আকাঙ্ক্ষা বা প্রার্থনা প্রকাশ পায়, তাকে প্রার্থনাসূচক বাক্য বলে। যেমন-ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন।

২৬) সন্দেহবাচক বাক্য বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও। 

উত্তর: যে সমস্ত বাক্যে মনের সন্দেহ, দ্বিধা বা সংশয় প্রকাশ পায়, তাকে সন্দেহবাচক বাক্য বলে। যেমন-'দেখে মনে হয় চিনি উহারে', 'মরি বুঝি ধোঁয়ায় এবার', 'বৃষ্টি হলেও হতে পারে', 'সে হয়তো এতক্ষণে শহরে পৌঁছেছে' প্রভৃতি।

২৭) আবেগসূচক বাক্য বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও। 

উত্তর: মনের আনন্দ, বিষাদ, উচ্ছ্বাস, হর্ষ, ক্রোধ, ঘৃণা, দুঃখ, বিস্ময় প্রভৃতি মানসিক আবেগ প্রকাশিত হয় যে সমস্ত বাক্যে তাদের আবেগসূচক বা বিস্ময়বোধক বাক্য বলে। যেমন-আহা! কী সুন্দর দৃশ্য। হুররে! আমরা জিতে গেছি! কী অসাধারণ ধৈর্য্য। প্রভৃতি।

২৮) শর্তসাপেক্ষ বাক্য বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।

উত্তর: যে বাক্যে একটি ক্রিয়া অন্য আর একটি ক্রিয়া সম্পাদনের উপর নির্ভরশীল হয়, তাকে শর্তসাপেক্ষ বাক্য বলে। যেমন-যদি আমি হাতে পাই তবে তুমিও পাবে। যদি মন দিয়ে লেখাপড়া করো তবেই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবে।

২৯) ক্রিয়ার কালের বিচারে অনুজ্ঞাসূচক বাক্য কয় প্রকার? উদাহরণ দাও।

উত্তর: ক্রিয়ার কালের বিচারে অনুজ্ঞাসূচক বাক্য দু-ধরনের হয়- (১) বর্তমান অনুজ্ঞা: আবার তোরা মানুষ হ। (২) ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা: দিলে তবেই নেবে।

৩০) মিশ্র বাক্য কাকে বলে?

উত্তর: যে বাক্যে সরলের সঙ্গে জটিল কিংবা যৌগিক বাক্যের এবং যৌগিক বাক্যের সঙ্গে জটিল বাক্যের মিশ্রণ বা সমন্বয় ঘটে, তাকে মিশ্র বাক্য বলে।

৩১) একটি মিশ্র বাক্যের উদাহরণ দাও।

উত্তর: যে রোজ আসে আজ সে আসেনি, চিনতে তাই ভুল হয়েছে।

৩২) রবীন্দ্রনাথকে সকলেই চেনে। (প্রশ্নবাচক বাক্যে রূপান্তর ঘটাও।)

উত্তর: রবীন্দ্রনাথকে কে না চেনে?

৩৩) সর্বদা সত্য কথা বলা উচিত। (অনুজ্ঞাসূচক বাক্যে রূপান্তরিত করো।) 

উত্তর: সর্বদা সত্য কথা বলা বলবে।

৩৪) সবসময় তোমার কথা শুনি। (জটিল বাক্যে লেখো।) 

উত্তর: সবসময় যা শুনি, তা তোমারই কথা।

৩৫) দেখিলাম, অনন্ত প্রসারিত নীল নভোমন্ডল। (জটিল বাক্যে লেখো।) 

উত্তর: যে নীল নভোমণ্ডল অনন্ত প্রসারিত, তাহা দেখিলাম। এ ছাড়াও গঠন ও অর্থ অনুসারে রূপান্তরের পূর্ব পৃষ্ঠার উদাহরণগুলি দেখো।

৩৬) সরল ও জটিল বাক্যের একটি করে বৈশিষ্ট্য লেখো। 

উত্তর: সরল বাক্যের একটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকে এবং জটিল বাক্যের একটিই প্রধান খণ্ড বাক্য থাকে।

৩৭) যৌগিক বাক্যের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো। 

উত্তর: যৌগিক বাক্যে সাধারণত যোজক পদের ব্যবহার ঘটে।

৩৮) গাছকে গোরু-ছাগলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বেড়া টানল। (বাক্যটির রূপান্তর ঘটাও।) 

উত্তর: গাছকে গোরু-ছাগলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কিন্তু বেড়া টানল।

৩৯) উদ্দেশ্য সাধারণত বাক্যের প্রথমে বসলেও, শেষে বা পরে বসেছে এমন একটি উদাহরণ দাও। 

উত্তর: কোন্ সুরে আজ বেঁধেছ যন্ত্র (উদ্দেশ্য)।

৪০) জটিল বাক্য কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তর: জটিল বাক্য তিনপ্রকার-সাপেক্ষবাচক জটিল বাক্য, আশ্রয়-আশ্রিত সম্পর্কের জটিল বাক্য এবং নিত্যসম্বন্ধী সর্বনামযুক্ত জটিল বাক্য।

৪১) উদাহরণ দাও: সাপেক্ষবাচক জটিল বাক্য।

উত্তর: যদি লক্ষ্মী হয়ে থাকো তবে একটা টফি পাবে।

৪২) উদাহরণ দাও: আশ্রয়-আশ্রিত সম্পর্কের জটিল বাক্য।

উত্তর: গানবাজনায় তার যে গভীর অনুরাগ ছিল, এ কথা বলা যায় না।

৪৩) উদাহরণ দাও: নিত্যসম্বন্ধী সর্বনামযুক্ত জটিল বাক্য। 

উত্তর: যেখানে ছায়া ঘনায় সেখানে বনের আরম্ভ।

৪৪) উদাহরণ দাও: ইতিবাচক বাক্য।

উত্তর: তখন আশ্রমের পরিধি ছিল ছোটো।

৪৫) বাক্যের ক্রিয়াবিশেষণ খণ্ডের উদাহরণ দাও। 

উত্তর: তারা হনহনিয়ে হেঁটে চলেছে।

৪৬) 'বোধহয় কথাটি সে বলে থাকবে।' -বাক্যটি সন্দেহবাচক বলার স্বপক্ষে একটি যুক্তি দাও।

উত্তর: 'বোধহয়' সংশয়বাচক পদ হিসেবে প্রযুক্ত হওয়ায় বাক্যটিতে সন্দেহের ভাব ফুটে উঠেছে, তাই এটি সন্দেহবাচক বাক্য।

৪৭) অর্থ ও গঠন অনুসারে বাক্যকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়? 

উত্তর: বাক্যকে অর্থ অনুসারে সাতটি এবং গঠন অনুসারে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়।

৪৮) 'ইহার পিতার নাম জিজ্ঞাসা করিলেই সন্দেহ নিরসন হইবে।' 'সন্দেহ' পদটি ব্যবহৃত হলেও এটি সন্দেহবাচক বাক্য নয় কেন?

উত্তর: দৃষ্টান্তবাক্যে 'সন্দেহ' পদটি বক্তার মনের সংশয়কে প্রকাশ করে না। বরং বিষয়টি সম্পর্কে স্বীকৃতিসূচক তথ্য দেয়। তাই এটি নির্দেশক বাক্যের উদাহরণ।

৪৯) ইতিবাচক বাক্যে লেখো: প্রকৃত দেশপ্রেমিকের সংখ্যা বেশি নয়।

উত্তর: প্রকৃত দেশপ্রেমিকের সংখ্যা খুব কম। (ইতিবাচক) 

৫০) 'প্রভাত হইলেই পথিকেরা যাত্রা করিল।'-এ দুটি কী ধরনের ক্রিয়াপদ?

উত্তর: 'হইলেই'-অসমাপিকা এবং 'করিল'-সমাপিকা ক্রিয়াপদ।

৫১) 'জগদীশ্বর তোমার মঙ্গল করুন।' -এটি প্রার্থনাসূচক বাক্য কিনা একটি যুক্তি দাও।

উত্তর: দৃষ্টান্ত বাক্যে বক্তার মনের আকাঙ্ক্ষা বা প্রার্থনা প্রকাশ পেয়েছে, তাই প্রার্থনাসূচক বাক্যের উদাহরণ।

৫২) উপদেশ, অনুরোধ, নিষেধ, আজ্ঞা প্রভৃতি প্রকাশ করে যে বাক্য তার নাম কী? উদাহরণ দাও।

উত্তর: উপদেশ, অনুরোধ, নিষেধ, আজ্ঞা প্রভৃতি প্রকাশ করে অনুজ্ঞাসূচক বাক্য। যেমন: সদা সত্য কথা বলবে।

৫৩) খণ্ডবাক্য এবং স্বাধীন বাক্যের দৃষ্টান্ত দাও।

উত্তর: তুমি চেয়ে দেখো তাতে কোনো লাভ নেই। (স্বাধীন বাক্য) তুমি যে আসবে না আমি জানতাম। (খণ্ডবাক্য)

 ৫৪) 'অমিত আর অজন্তা খেলতে গেছে।' -এই বাক্যটি যৌগিক বাক্য নয় কেন?

উত্তর: এই বাক্যে দুটি নামকে যোজকের সাহায্যে যুক্ত করা হয়েছে, তাই দৃষ্টান্ত বাক্যটি যৌগিক বাক্য নয়, সরল বাক্য।

৫৫) অনুজ্ঞাসূচক বাক্যে রূপান্তর করো: পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে এগিয়ে আনতে হবে।

উত্তর: পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে এগিয়ে আনা উচিত।

৫৬) উদাহরণ দাও : শর্তসাপেক্ষ বাক্য।

উত্তর: যদি বৃষ্টি আসে তবে খিচুড়ি খাওয়া হবে।

৫৭) 'কী মিষ্টি আম!' এবং 'আমটি খুব মিষ্টি'। -কী ধরনের বাক্য।

উত্তর: 'কী মিষ্টি আম!'-আবেগসূচক বাক্য।

আমটি খুব মিষ্টি।-নির্দেশক বাক্য।

৫৮) 'স্ত্রী-শিক্ষা সমাজের অগ্রগতির পক্ষে অপরিহার্য। বিদ্যাসাগর মশাই এদেশে প্রথম স্ত্রীশিক্ষা প্রবর্তন করেন।-যুক্ত করে সরল বাক্যে পরিণত করো।

উত্তর: সমাজের অগ্রগতির পক্ষে অপরিহার্য স্ত্রী-শিক্ষা এদেশের এবং এটি জটিল বাক্যের উদাহরণ। প্রথম প্রবর্তন করেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মশায়।

৫৯) 'তুমি না এলে আমি যাব না।'-গঠনগত ভাবে এটি কী ধরনের বাক্য এবং কেন?

উত্তর: একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকায়, এটি সরল বাক্যের দৃষ্টান্ত।

৬০) 'যেহেতু কোথাও পথ পেলাম না, সেহেতু আপনার কাছে এসেছি।'-বাক্যটির প্রধান খণ্ডবাক্য কোল্টিন্ট এবং এটি কী ধরনের বাক্য?

উত্তর: বাক্যটির প্রধান খণ্ডবাক্যটি হল 'আপনার কাছে এসেছি' এবং এটি জটিল বাক্যের উদাহরণ।

আরও পড়ো- 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area