Ads Area


পরিবেশ ও সম্পদ class 5 প্রশ্ন উত্তর || পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf

পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf নিয়ে আজকের এই পোস্টটা। তোমরা যারা পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ছো তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশ বই -এ পরিবেশ ও সম্পদ (চতুর্থ অধ্যায়) থকে সকল প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করছি যে গুলো পরীক্ষায় আসার উপযোগী। ছাত্র-ছাত্রীরা এই সব নমুনা প্রশ্ন উত্তর গুলি মুখস্ত করতে হবে বা মনে রাখতে হবে। WB পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো, শূন্যস্থান পূরণ, সত্য/ মিথ্যা নির্বাচন করো, একটি বাক্যে উত্তর দাও বিভিন্ন ভাবে দেওয়া হলো। পঞ্চম শ্রেণীর সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা উপকৃত হবেই।

পরিবেশ ও সম্পদ

পরিবেশ ও সম্পদ class 5 প্রশ্ন উত্তর || পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf

পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:

1. মানুষের সবচেয়ে বড়ো সম্পদ হল– (শক্তি / পরিশ্রম / বুদ্ধি / কোনোটিই নয়)

উত্তর- বুদ্ধি

2. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন হল– (২৭ বৈশাখ / ৩০ বৈশাখ / ২৫ বৈশাখ / ২২ বৈশাখ)

উত্তর- ২৫ বৈশাখ

3. আগেকার দিনে বর মারা গেলে বউকেও তার সঙ্গে পুড়িয়ে মারা হত- এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন- (মেঘনাদ সাহা / কল্পনা দত্ত / রামমোহন / স্বামী বিবেকানন্দ)

উত্তর- রামমোহন

4. দেশের মানুষকে হাতেকলমে শিক্ষার কথা বলেছিলেন- (ডিরোজিও / রামমোহন / স্বামী বিবেকানন্দ / বেগম রোকেয়া)

উত্তর- স্বামী বিবেকানন্দ

5. আজাদ হিন্দ ফৌজ বানিয়েছিলেন- (মহাত্মা গান্ধি / নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু / ভগৎ সিং / বাঘা যতীন)

উত্তর- নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু

6. কত সালে আমাদের দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল?- (১৯৪২ সালে / ১৯৪৫ সালে / ১৯৪০ সালে / ১৯৪৭ সালে)

উত্তর- ১৯৪৭ সালে

7. ‘গান্ধিবুড়ি’ নামে পরিচিত- (মাতঙ্গিনী হাজরা / কল্পনা দত্ত / প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার / ভগিনী নিবেদিতা)

উত্তর- মাতঙ্গিনী হাজরা

8. কোন মনীষীর জন্মদিনকে আমরা ‘শিক্ষক দিবস’ হিসেবে পালন করি?- (মৌলানা আবুল কালাম আজাদ / ড . সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ / স্বামী বিবেকানন্দ / জওহরলাল নেহরু)

উত্তর- ড . সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ

9. আমাদের দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনকে আমরা কী দিবস হিসেবে পালন করি?- (শিশু দিবস / নেহরু দিবস / শহিদ দিবস / সাধারণতন্ত্র দিবস)

উত্তর- শিশু দিবস

10. বাঁশের কেল্লা তৈরি করেছিলেন?- (বীরসা মুন্ডা / তিতুমির / সিধু মুর্মু / কানহু মুর্মু)

উত্তর- তিতুমির

11. টেরাকোটা শিল্প বিখ্যাত- (বর্ধমান / পুরুলিয়া / বাঁকুড়া) জেলায়

উত্তর- বাঁকুড়া

12. কোন জায়গায় ঝিনুক দিয়ে মূর্তি গড়া হয়?- (বিষ্ণুপুর / দিঘা / পুরুলিয়া / বীরভূম)

উত্তর- দিঘা

আরও পড়ো-


পরিবেশ ও সম্পদ class 5 শূন্যস্থান পূরণ করো:

1. ______ মাটিতে জল দাঁড়ায় না ফলে চাষ হয় না।

উত্তর- লাল

2. মানুষের স্বাস্থ্য হল একটি ______ ।

উত্তর- সম্পদ

3. মানুষ মাটি ও কয়লা দিয়ে ______ তৈরি করেছে।

উত্তর- ইট

4. ______ ‘বিশ্বকবি’ নামে পরিচিত।

উত্তর- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

5. ______ প্লেগ রোগীদের সেবা করেছেন।

উত্তর- ভগিনী নিবেদিতা

6. ______ মেয়েদের পড়াশোনা শেখানোর জন্য চেষ্টা করেছিলেন।

উত্তর- বেগম রোকেয়া

7. ______ ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।

উত্তর- জওহরলাল নেহরু

8. আবুল কালাম আজাদ ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম ______।

উত্তর- শিক্ষামন্ত্রী

9. গাছ আমাদের বাঁচার জন্য ______ দেয়।

উত্তর- অক্সিজেন

ক্লাস 5 বিজ্ঞান প্রশ্ন এবং উত্তর সত্য/ মিথ্যা নির্বাচন করো :

1. কার্শিয়াং -এর ঢালু জমিতে প্রচুর চা বাগান আছে।

উত্তর- সত্য

2. বিদ্যুৎ তৈরি করতে কয়লা লাগে।

উত্তর- সত্য

3. প্রথম দিকে মানুষ মাটির পাত্রের গায়ে রং করত।

উত্তর- মিথ্যা

4. আচার্য জগদীশচন্দ্র ও আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ছিলেন বিরাট বিজ্ঞানী।

উত্তর- সত্য

5. আমাদের দেশ ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন হয়।

উত্তর- মিথ্যা

6. সাধারণতন্ত্র কথার অর্থ হল সাধারণ মানুষ একজন রাজার অধীনে থাকবে।

উত্তর- মিথ্যা

7. আমাদের দেশে ২৬ জানুয়ারি দিনটি সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়।

উত্তর- সত্য

8. দিঘাতে টেরাকোটার কাজ দেখা যায়।

উত্তর- মিথ্যা

9. বন আর পাহাড় থাকার জন্য এ রাজ্যে বৃষ্টি হয়, আমরা চাষের জল পাই।

উত্তর- সত্য

10. সূর্য সেন ‘মাস্টারদা’ নামে পরিচিত।

উত্তর- সত্য

ক্লাস 5 এর পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর বেমানান শব্দটি খুঁজে বের করো

1. আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, মেঘনাদ সাহা, মহাত্মা গান্ধি, সত্যেন্দ্রনাথ বসু

মহাত্মা গান্ধি হলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বাকি তিনজন হলেন ভারতের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী

2. কার্শিয়াং, উঁচু পাহাড়, চা- বাগান, ধান চাষ

কার্শিয়াং -এর উঁচু পাহাড়ে চা -বাগান রয়েছে, তবে এখানে ধান চাষ হয় না।

3. মানুষ, স্বাস্থ্য, বুদ্ধি, কয়লা

মানুষের সম্পদ হল স্বাস্থ্য ও বুদ্ধি, কয়লা নয়।

4. প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা দত্ত, বেগম রোকেয়া, মাতঙ্গিনী হাজরা

বেগম রোকেয়া একজন সমাজসংস্কারক এবং বাকি তিনজন হলেন ভারতে বিশিষ্ট বিপ্লবী নারী।

5. সিধো মুর্মু, বিরসা মুন্ডা, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ, তিতুমির

সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ বাদে বাকি তিনজন ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।


কস্তম্ভ ও খস্তম্ভ মেলাও
(ক) মাস্টারদা (অ) মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধি
(খ) বাঘা যতীন (আ) সুভাষচন্দ্র বসু
(গ) নেতাজি (ই) সূর্য সেন
(ঘ) মহাত্মা (ঈ) যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
(ঙ) কবি (এ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(চ) লেখক (ঐ) কাজি নজরুল ইসলাম
(ছ) স্বাধীনতা সংগ্রামী (ও) আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু
(ঝ) বিজ্ঞানী (ঔ) বিনয়-বাদল দীনেশ উত্তর

উত্তর- (ক) → (ই), (খ) → (ঈ), (গ) → (আ), (ঘ) → (অ) (ঙ) → (ঐ) , (চ) → (এ) , (ছ) → (ঔ) , (ঝ) → (ও)

পরিবেশ ও সম্পদ থেকে একটি বাক্যে উত্তর দাও:


1) লালমাটির বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তর: লালমাটি পাথরে ভরা, সেখানে জল দাঁড়ায় না ফলে চাষ হয় না।

2) কার্শিয়াং -এর ঢালু জমিতে কী দেখা যায়?

উত্তর: কার্শিয়াং -এর ঢালু জমিতে প্রচুর চা বাগান দেখা যায়।

3) কয়লা কী কী কাজে লাগে?

উত্তর: কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানো হয় এবং বিদ্যুৎ তৈরি করতেও এটি কাজে লাগে।

4) মানুষ প্রথম দিকে মাটির পাত্রে কী করত?

উত্তর: মানুষ প্রথম দিকে মাটির পাত্রের গায়ে আঁকত, তারপর সেটা পুড়িয়ে শক্ত করে নিত।

5) সাহিত্যজগতের কয়েকজন মনীষীর নাম লেখো।

উত্তর: সাহিত্যজগতের কয়েকজন মনীষী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজি নজরুল ইসলাম, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

6) দুজন সমাজসংস্কারকের নাম লেখো।

অথবা,

দুজন মনীষীর নাম লেখো যারা বাল্যবিবাহ ও সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।

উত্তর: দুজন সমাজসংস্কারক ছিলেন রাজা রামমোহন রায় ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

7) মেয়েদের পড়াশোনা শেখানোর জন্য কে চেষ্টা করেছিলেন?

উত্তর: বেগম রোকেয়া মেয়েদের পড়াশোনা শেখানোর জন্য চেষ্টা করেছিলেন।

8) দুজন বিজ্ঞানী তথা শিক্ষকের নাম লেখো?

অথবা,

দুজন বাঙালী বিজ্ঞানীর নাম লেখো।

উত্তর: দুজন বিজ্ঞানী তথা শিক্ষক ছিলেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ও আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়।

9) আমাদের দেশের কয়েকজন বিখ্যাত বিজ্ঞানীর নাম লেখো।

উত্তর: আমাদের দেশের কয়েকজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু, মেঘনাদ সাহা, প্রশান্তচন্দ্ৰ মহলানবিশ প্রমুখ।

10) আমরা কাদের জন্মদিনে পতাকা তুলে তাদের শ্রদ্ধা জানাই?

উত্তর: আমরা মহাত্মা গান্ধি ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে পতাকা তুলে তাদের শ্রদ্ধা জানাই।

11) আমাদের দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন এমন কয়েকজন বিপ্লবীদের নাম লেখো।

অথবা,

ভারতবর্ষের কয়েকজন দেশপ্রেমিক অথবা বিপ্লবীর নাম লেখো।

উত্তর: আমাদের দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন এমন কয়েকজন বিপ্লবী হলেন ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকি, ভগৎ সিং, বিনয়, বাদল, দীনেশ প্রমুখ।

12) “বেত মেরে তুই মা ভোলাবি, আমরা কী মা-র সেই ছেলে” -এখানে ‘মা’ মানে কী?

উত্তর: এখানে ‘মা’ বলতে দেশকে বোঝানো হয়েছে।

13) আমাদের দেশ কত তারিখে স্বাধীন হয়?

উত্তর: আমাদের দেশ ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন হয়।

14) পরিবেশ দিবস পালন করা উচিত কেন?

উত্তর: পরিবেশ ভালো না থাকলে আমরা সুস্থ থাকতে পারব না -এই কথাটা সবাইকে জানানোর জন্যই পরিবেশ দিবস পালন করা উচিত।

15) অরণ্য সপ্তাহে কী করা হয়?

উত্তর: অরণ্য সপ্তাহে রাস্তার পাশে, ফাঁকা জায়গায় ছোটো বড়ো গাছ লাগানো হয়।

16) ভারতের সংবিধান কে রচনা করেন?

উত্তর: ভীমরাও রামজি আম্বেদকর ভারতের সংবিধান রচনা করেন।

17) আমাদের দেশে ‘সাধারণতন্ত্র দিবস’ পালিত হয় কবে?

উত্তর: প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি আমাদের দেশে সাধারণতন্ত্র দিবস পালিত হয়।

18) বন আর পাহাড় থাকার ফলে কী হয়?

উত্তর: বন আর পাহাড় থাকার ফলে সারা রাজ্যে বৃষ্টি হয়। এবং আমরা চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জল পেয়ে থাকি।


সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর

মান 2/3

1. মানুষ কেমন করে মাটির কড়া তৈরি করল?

উত্তর: মানুষ যখন আগুন জ্বালাতে শিখল তখন সে জ্বলন্ত কাঠের আগুনেই মাংস ঝলসে খেত। এরপর সে ধীরে ধীরে রান্না করতে শিখল। কিন্তু রান্নার জন্য চাই পাত্র, কারণ পাত্র না হলে রাঁধা যাবে না আবার রাঁধা খাবার রাখাও যাবে না। তখন মানুষ বুদ্ধি করে প্রথমে মাটির কড়া বানাল।

2. উনুন কত রকমের হয়?

উত্তর: আগে মাটিতে গর্ত করে কাঠের উনুন হত, তারপর এল যথাক্রমে আঁচের উনুন ও গ্যাসের উনুন। এখনকার দিনে আবার নানারকমের ইলেকট্রিকের উনুনও পাওয়া যায়।

3. স্বামী বিবেকানন্দের অবদান লেখো।

উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ দেশের মানুষকে হাতেকলমে শিক্ষার কথা বলেছিলেন। তিনি বলতেন বইতে মুখ ডুবিয়ে বসে থেকো না, ফুটবল খেলো তাতে শরীর-মন ভালো থাকবে। শুধু বই পড়ে কিছু হয় না।


4. সমাজসংস্কারে রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও ডিরোজিওদের অবদান লেখো।

অথবা,

রামমোহন রায় ও বিদ্যাসাগরকে আমরা আজও স্মরণ করি কেন?

উত্তর: আগেকার দিনে আমাদের সমাজে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত ছিল। বাড়িতে মেয়ে জন্মালে অনেকে দুঃখ পেত, মেয়েদের বেশি লেখাপড়া শিখতে দেওয়া হত না, কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হত। কখনো কখনো বর মারা গেলে বউকেও তার সঙ্গে পুড়িয়ে মারা হত। এসব অন্যায় - অবিচার দেখে রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও ডিরোজিওরা প্রতিবাদ করেন। অনেক লড়াই করে তাঁরা এসব অত্যাচার বন্ধ করেন। দেশের সমস্ত মানুষ যাতে লেখাপড়া শিখতে পারে তার ব্যবস্থাও করেন। তাঁরা বই লেখেন, স্কুল বানান এবং সমাজকে নতুনভাবে গড়ে তোলেন।


5. ভারতের স্বাধীনতার জন্য বিপ্লবীদের অবদান লেখো।

উত্তর: ভারতের স্বাধীনতার জন্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। অন্যদিকে মাস্টারদা সূর্য সেন নিজের ছাত্রছাত্রীদের দেশের হয়ে কাজ করার উৎসাহ দিতেন। তিনি নিজেও সরাসরি ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এ ছাড়াও বিনয়-বাদল-দীনেশ, ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকি, ভগৎ সিং প্রমুখ বিপ্লবী দেশের জন্য লড়াই করে শহিদ হয়েছেন। তাঁদের এই অবদানের ফলেই ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট আমাদের দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল।

6. মাতঙ্গিনীকে গান্ধিবুড়ি বলা হত কেন?

উত্তর: দেশের জন্য লড়াইতে মেয়েরাও এগিয়ে এসেছিলেন। তাঁরা ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে লড়াই করেছিলেন। এদের মধ্যে মাতঙ্গিনী হাজরা অন্যতম। মাতঙ্গিনী হাজরা সাধারণ মানুষকে একজোট করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ইংরেজদের গুলিতে প্রাণ দেন। গান্ধিজির মতোই মাতঙ্গিনী লড়াই করেছিলেন বলে লোকে তাঁকে শ্রদ্ধা করে ‘গান্ধিবুড়ি’ নামে ডাকত।

7. বীরসা মুন্ডা, তিতুমির, সিধো-কানহু বিখ্যাত কেন?

উত্তর: ভারত স্বাধীন হওয়ার অনেক আগে ইংরেজরা ভারতীয় চাষিদের ওপর নানা অত্যাচার চালিয়েছিল। তারা অন্যায়ভাবে চাষের জমি কেড়ে নিয়েছিল, জঙ্গল কেটে ফেলে চাষিদের রেশম ও নীল চাষ করতে বাধ্য করেছিল। এর বিরুদ্ধে অনেক সাধারণ মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল। বীরসা মুন্ডা, সিধো, কানহু, তিতুমির সবাই ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তিতুমির বাঁশের কেল্লা তৈরি করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। হাজার হাজার মানুষ তির - ধনুক নিয়ে ইংরেজ সেনার মোকাবিলা করেছিল। ইংরেজ সেনার গোলার আঘাতে বাঁশের কেল্লা ভেঙে যায় এবং তিতুমির শহিদ হন। এইভাবেই ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করে বীরসা মুন্ডা, তিতুমির, সিধো, কানহু প্রমুখ আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছেন।

8. প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি তারিখটিকে আমরা সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করি কেন?

অথবা,

সাধারণতন্ত্র দিবস আমরা পালন করি কেন?

উত্তর: সাধারণতন্ত্র মানে হল সাধারণ মানুষই দেশ চালাবে। এখানে রাজার কোনো অস্তিত্ব থাকে না। আজ যে সাধারণ লোক, পরে সেই ভোটে জিতে সরকারের প্রধান হতে পারে। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি আমাদের স্বাধীন দেশটা আমরা কেমন চালাব তারই এমন নিয়ম চালু হয়েছিল। সেই দিনটাকে স্মরণ করে আমরা প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি তারিখটিকে সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করি।
Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area