পরিবেশ ও সম্পদ class 5 প্রশ্ন উত্তর || পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf
adminMay 23, 2023
0
পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf নিয়ে আজকের এই পোস্টটা।
তোমরা যারা পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ছো তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশ
বই -এ পরিবেশ ও সম্পদ (চতুর্থ অধ্যায়) থকে সকল প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করছি যে গুলো
পরীক্ষায় আসার উপযোগী। ছাত্র-ছাত্রীরা এই সব নমুনা প্রশ্ন উত্তর গুলি মুখস্ত
করতে হবে বা মনে রাখতে হবে। WB পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ প্রশ্ন
উত্তর চতুর্থ অধ্যায় থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো, শূন্যস্থান
পূরণ, সত্য/ মিথ্যা নির্বাচন করো, একটি বাক্যে উত্তর দাও বিভিন্ন ভাবে
দেওয়া হলো। পঞ্চম শ্রেণীর সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা উপকৃত হবেই।
পরিবেশ ও সম্পদ
পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন
করো:
1. মানুষের সবচেয়ে বড়ো সম্পদ হল– (শক্তি / পরিশ্রম / বুদ্ধি / কোনোটিই নয়)
উত্তর- বুদ্ধি
2. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন হল– (২৭ বৈশাখ / ৩০ বৈশাখ / ২৫ বৈশাখ / ২২ বৈশাখ)
উত্তর- ২৫ বৈশাখ
3. আগেকার দিনে বর মারা গেলে বউকেও তার সঙ্গে পুড়িয়ে মারা হত- এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন- (মেঘনাদ সাহা / কল্পনা দত্ত / রামমোহন / স্বামী বিবেকানন্দ)
উত্তর- রামমোহন
4. দেশের মানুষকে হাতেকলমে শিক্ষার কথা বলেছিলেন- (ডিরোজিও / রামমোহন / স্বামী বিবেকানন্দ / বেগম রোকেয়া)
উত্তর: ভীমরাও রামজি আম্বেদকর ভারতের সংবিধান রচনা করেন।
17) আমাদের দেশে ‘সাধারণতন্ত্র দিবস’ পালিত হয় কবে?
উত্তর: প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি আমাদের দেশে সাধারণতন্ত্র দিবস পালিত হয়।
18) বন আর পাহাড় থাকার ফলে কী হয়?
উত্তর: বন আর পাহাড় থাকার ফলে সারা রাজ্যে বৃষ্টি হয়। এবং আমরা চাষের জন্য
প্রয়োজনীয় জল পেয়ে থাকি।
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর
মান 2/3
1. মানুষ কেমন করে মাটির কড়া তৈরি করল?
উত্তর: মানুষ যখন আগুন জ্বালাতে শিখল তখন সে জ্বলন্ত কাঠের আগুনেই মাংস ঝলসে
খেত। এরপর সে ধীরে ধীরে রান্না করতে শিখল। কিন্তু রান্নার জন্য চাই পাত্র, কারণ
পাত্র না হলে রাঁধা যাবে না আবার রাঁধা খাবার রাখাও যাবে না। তখন মানুষ বুদ্ধি
করে প্রথমে মাটির কড়া বানাল।
2. উনুন কত রকমের হয়?
উত্তর: আগে মাটিতে গর্ত করে কাঠের উনুন হত, তারপর এল যথাক্রমে আঁচের উনুন ও
গ্যাসের উনুন। এখনকার দিনে আবার নানারকমের ইলেকট্রিকের উনুনও পাওয়া যায়।
3. স্বামী বিবেকানন্দের অবদান লেখো।
উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ দেশের মানুষকে হাতেকলমে শিক্ষার কথা বলেছিলেন। তিনি
বলতেন বইতে মুখ ডুবিয়ে বসে থেকো না, ফুটবল খেলো তাতে শরীর-মন ভালো থাকবে। শুধু
বই পড়ে কিছু হয় না।
4. সমাজসংস্কারে রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও ডিরোজিওদের অবদান লেখো।
অথবা,
রামমোহন রায় ও বিদ্যাসাগরকে আমরা আজও স্মরণ করি কেন?
উত্তর: আগেকার দিনে আমাদের সমাজে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত ছিল। বাড়িতে মেয়ে
জন্মালে অনেকে দুঃখ পেত, মেয়েদের বেশি লেখাপড়া শিখতে দেওয়া হত না, কম বয়সে
মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হত। কখনো কখনো বর মারা গেলে বউকেও তার সঙ্গে
পুড়িয়ে মারা হত। এসব অন্যায় - অবিচার দেখে রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও ডিরোজিওরা
প্রতিবাদ করেন। অনেক লড়াই করে তাঁরা এসব অত্যাচার বন্ধ করেন। দেশের সমস্ত
মানুষ যাতে লেখাপড়া শিখতে পারে তার ব্যবস্থাও করেন। তাঁরা বই লেখেন, স্কুল
বানান এবং সমাজকে নতুনভাবে গড়ে তোলেন।
5. ভারতের স্বাধীনতার জন্য বিপ্লবীদের অবদান লেখো।
উত্তর: ভারতের স্বাধীনতার জন্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করে
ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। অন্যদিকে মাস্টারদা সূর্য সেন নিজের
ছাত্রছাত্রীদের দেশের হয়ে কাজ করার উৎসাহ দিতেন। তিনি নিজেও সরাসরি ইংরেজদের
বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এ ছাড়াও বিনয়-বাদল-দীনেশ, ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল
চাকি, ভগৎ সিং প্রমুখ বিপ্লবী দেশের জন্য লড়াই করে শহিদ হয়েছেন। তাঁদের এই
অবদানের ফলেই ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট আমাদের দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল।
6. মাতঙ্গিনীকে গান্ধিবুড়ি বলা হত কেন?
উত্তর: দেশের জন্য লড়াইতে মেয়েরাও এগিয়ে এসেছিলেন। তাঁরা ইংরেজদের
অত্যাচারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে লড়াই করেছিলেন। এদের মধ্যে মাতঙ্গিনী হাজরা
অন্যতম। মাতঙ্গিনী হাজরা সাধারণ মানুষকে একজোট করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই
করে। ইংরেজদের গুলিতে প্রাণ দেন। গান্ধিজির মতোই মাতঙ্গিনী লড়াই করেছিলেন বলে
লোকে তাঁকে শ্রদ্ধা করে ‘গান্ধিবুড়ি’ নামে ডাকত।
7. বীরসা মুন্ডা, তিতুমির, সিধো-কানহু বিখ্যাত কেন?
উত্তর: ভারত স্বাধীন হওয়ার অনেক আগে ইংরেজরা ভারতীয় চাষিদের ওপর নানা
অত্যাচার চালিয়েছিল। তারা অন্যায়ভাবে চাষের জমি কেড়ে নিয়েছিল, জঙ্গল কেটে
ফেলে চাষিদের রেশম ও নীল চাষ করতে বাধ্য করেছিল। এর বিরুদ্ধে অনেক সাধারণ মানুষ
রুখে দাঁড়িয়েছিল। বীরসা মুন্ডা, সিধো, কানহু, তিতুমির সবাই ইংরেজদের বিরুদ্ধে
লড়াই করেছিলেন। তিতুমির বাঁশের কেল্লা তৈরি করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই
করেছিলেন। হাজার হাজার মানুষ তির - ধনুক নিয়ে ইংরেজ সেনার মোকাবিলা করেছিল।
ইংরেজ সেনার গোলার আঘাতে বাঁশের কেল্লা ভেঙে যায় এবং তিতুমির শহিদ হন। এইভাবেই
ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করে বীরসা মুন্ডা, তিতুমির, সিধো, কানহু প্রমুখ আমাদের
কাছে স্মরণীয় হয়ে আছেন।
8. প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি তারিখটিকে আমরা সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করি
কেন?
অথবা,
সাধারণতন্ত্র দিবস আমরা পালন করি কেন?
উত্তর: সাধারণতন্ত্র মানে হল সাধারণ মানুষই দেশ চালাবে। এখানে রাজার কোনো
অস্তিত্ব থাকে না। আজ যে সাধারণ লোক, পরে সেই ভোটে জিতে সরকারের প্রধান হতে
পারে। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি আমাদের স্বাধীন দেশটা আমরা কেমন চালাব তারই এমন
নিয়ম চালু হয়েছিল। সেই দিনটাকে স্মরণ করে আমরা প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি
তারিখটিকে সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করি।