Ads Area


সমাজ সংস্কারক হিসেবে বিদ্যাসাগরের অবদান

সমাজ সংস্কারক হিসেবে বিদ্যাসাগরের অবদান সম্পর্কে আমাদের এই পোস্ট এ সম্পুর্ণ আলোচনা করা হল। সংস্কারক হিসেবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কৃতিত্ব, শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারে বিদ্যাসাগরের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন যার উত্তর সকল ছাত্রছাত্রীদের জানা প্রয়োজন। তাই আর দেড়ি না করে নিচে দেওয়া ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কৃতিত্ব মনযোগ সহকারে পড়ুন।

সমাজ সংস্কারক হিসেবে বিদ্যাসাগরের অবদান

ঊনবিংশ শতকে ভারতভূমিতে আবির্ভূত মহান ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম প্রধান ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। আধুনিক বাঙালির জীবনেও তাঁর প্রভাব অপরিসীম।

সমাজ সংস্কারক হিসেবে বিদ্যাসাগরের অবদান

সংস্কারক হিসেবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কৃতিত্ব নিরূপণ করো। (Narrate the Achievements of Iswar Chandra Vidyasagar as a Reformist.)

তিনি ছিলেন বহুগুণসম্পন্ন ব্যক্তি। তীক্ষ্ণ মেধা ও দুর্জয় সাহসকে ভর করে তিনি ভেঙে চুরমার করে দিতে চেয়েছেন সমাজজীবনের ক্লেদাক্ত অভ্যাসগুলিকে। তাঁর সমগ্র জীবন ব্যয়িত হয়েছে স্বদেশবাসীর সার্বিক উন্নয়নের কাজে। কোনো অন্যায়ের সাথেই তাঁর আপস ছিল না।

বিদ্যাসাগরের চরিত্রের এহেন অনমনীয় দৃঢ়তা সম্পর্কে বিস্ময় প্রকাশ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন: “আমাদের এই অবনমিত দেশে ঈশ্বরচন্দ্রের মতো এমন অখণ্ড পৌরুষের আদর্শ কেমন করিয়া জন্মগ্রহণ করিল।” একই সুরে রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী বলেছেন: “এই দেশে এই জাতির মধ্যে বিদ্যাসাগরের মতো একটা কঠোর মানুষের আবির্ভাব ...... ঐতিহাসিক ঘটনা রূপেই গণ্য হবে।” বস্তুতই বিদ্যাসাগরের চরিত্র ছিল কোমলতার সাথে কাঠিন্যের; গ্রহণের সাথে ত্যাগের; প্রাচ্যের সাথে পাশ্চাত্যের ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয়। মাইকেল মধুসুদন যথার্থই বলেছেন: “Vidyasagar had the genius and wisdom of an ancient sage. the energy of an English man and the heart of a Bengali mother.”

১৮২০ খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে ঈশ্বরচন্দ্রের জন্ম হয়। পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতা ভগবতী দেবী উভয়েই তাঁর চরিত্র গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

পিতামাতার কাছ থেকে তিনি সরলতা ও দ্রয়ার্দ্রতা গুণ লাভ করেন। কঠোর সংগ্রামের দ্বারা তিনি শিক্ষালাভ করেন। ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে তিনি সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ পদে উন্নীত হন। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে তাঁর গভীর পাণ্ডিত্য ছিল। কিন্তু এই শিক্ষা কখনো তাঁর দৃষ্টিশক্তিকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি।


প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সমন্বয়ের প্রতীকঃ


সংস্কৃত পণ্ডিত হলেও পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি তাঁর কোনোরূপ মিথ্যা আক্রোশ ছিল না। পাশ্চাত্য আদর্শ ও চিন্তাধারার প্রতি তাঁর যথেষ্ট শ্রদ্ধা ছিল। এককথায় তিনি ছিলেন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সমন্বয়ের মূর্ত প্রতীক। তারই আগ্রহে সংস্কৃত কলেজে ইংরেজি পঠনপাঠন শুরু হয়। সংস্কৃত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও ইংরেজি ভাষা শিক্ষা আবশ্যিক করা হয়।

ঈশ্বরচন্দ্র অধ্যক্ষ হিসেবে সংস্কৃত কলেজে অনেকগুলি প্রগতিশীল নিয়ম চালু করেন। প্রথমেই তিনি কলেজে ভর্তিসংক্রান্ত নিয়মকানুনকে সর্বজনীন করেন। এতাবৎকাল পর্যন্ত কেবলমাত্র হিন্দু ব্রাহ্মণ ও বৈদ্যরাই সংস্কৃত কলেজে শিক্ষালাভের অধিকারী ছিল। ঈশ্বরচন্দ্র যে- কোনো হিন্দুর নিকট ওই কলেজের দ্বার উন্মুক্ত করে দেন। সুলেখক হিসেবেও তিনি অনন্য কৃতিত্বের অধিকারী ছিলেন।


জনপ্রিয় লেখকঃ


পাঠক্রম রচনায় তিনি মৌলিক প্রতিভার পরিচয় দেন। বাংলা ভাষায় ‘সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা’ এবং ‘ব্যাকরণ কৌমুদী’ রচনা করে তিনি বাংলার মাধ্যমে সংস্কৃত সাহিত্যের শিক্ষালাভের ব্যবস্থা করে দেন। জনশিক্ষা প্রচারের উদ্দেশ্যে তিনি রচনা করেন ‘বর্ণমালা’, ‘কথামালা’, ‘বোধোদয়’ প্রভৃতি গ্রন্থ।

কিশোরমনে তাঁর এই রচনাগুলির প্রভাব আজও সমানভাবে বর্তমান। তাঁর ‘বর্ণপরিচয়’ বাংলা ভাষা-শিক্ষার প্রাথমিক শর্ত হিসেবে আজও স্বীকৃত।

শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারে বিদ্যাসাগরের অবদান


শিক্ষাসংস্কারঃ


শিক্ষক ঈশ্বরচন্দ্র শিক্ষাবিস্তারে ছিলেন আন্তরিক আগ্রহী। বিশেষত স্ত্রী-শিক্ষা প্রসারে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়। মানবতাবাদী সংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র ভারতীয় নারীর সামাজিক লাঞ্ছনা দেখে বিচলিত হন। তিনি উপলব্ধি করেন যে, অশিক্ষাই নারীজাতির এই দুর্দশার অন্যতম প্রধান কারণ। তিনি এও বুঝেছিলেন যে, সমাজজীবনের উন্নতির জন্য স্ত্রী-শিক্ষা অপরিহার্য।

এজন্য তিনি নিজ উদ্যোগে প্রায় ৩৫ টি নারী-বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এর মধ্যে কয়েকটি তিনি নিজব্যয়ে চালাতেন। বাংলায় স্ত্রী-শিক্ষা প্রসারের ইতিহাসে ‘বেথুন স্কুলের’ নাম উল্লেখযোগ্য। ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন বিদ্যাসাগরের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয় পরিদর্শক (Inspector of Schools) হিসেবে তিনি নতুন বিদ্যালয় স্থাপনের কাজ করে যান।


বিধবাবিবাহ প্রচলনঃ


নিপীড়িত ভারতীয় নারীসমাজের দুঃখদুর্দশা লাঘবের জন্য ঈশ্বরচন্দ্র তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কুসংস্কারাচ্ছন্ন ভারতীয় সমাজব্যবস্থায় প্রথম উৎসর্গ ছিল নারীজাতি।

পুরুষশাসিত সমাজে গোঁড়া হিন্দু পুরুষেরা বিভিন্ন স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে ধর্মের দোহাই দিয়ে এমন কতকগুলি সামাজিক বিধিবিধান চালু করেছিল, যাতে নারীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বার্থান্ধ পুরুষের সুখসমৃদ্ধি সুনিশ্চিত হত। যেমন- বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ ইত্যাদি। এই বাল্যবিবাহের অনিবার্য অভিশাপ রূপে সমাজে সৃষ্টি হত সংখ্যাহীন বিধবার।

কৌলীন্য প্রথার অজুহাতে কুলীন ব্রাহ্মণগণ বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত বহু পত্নী গ্রহণ করে মৃত্যুমুখে পতিত হত। ফলে বালিকা বধুগণ বিধবা হয়ে জীবনভোর অশেষ দুঃখকষ্ট ভোগ করত। জীবনের বোধোদয় হবার পূর্বেই শতশত বালিকার জীবনের মুক্ত দুয়ার রুদ্ধ হয়ে যেত।

আরও পড়ুন- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সম্পর্কে কুইজ

এই জঘন্য প্রথা বিদ্যাসাগরের অন্তরকে ব্যথিত করে তোলে। রাগে, দুঃখে, অভিমানে এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, “ ..... তোমরা প্রাণতুল্য কন্যা প্রভৃতিকে অসহনীয় বৈধব্য-যন্ত্রণাবলে দগ্ধ করিতে সম্মত আছ ..... তাহাদিগকে বিবাহ দিয় ৷ দুঃসহ বৈধব্যযন্ত্রণা হইতে পরিত্রাণ করিতে এবং তাহাদিগকে সকল বিপদ হইতে মুক্ত করিতে সম্মত নহে। যে দেশে পুরুষজাতির দয়া নাই, ধর্ম নাই, ন্যায়-অন্যায় জ্ঞান নাই ....... আর যেন সে দেশে হতভাগ্য অন্য জাতি জন্মগ্রহণ না করে।”

তাই তিনি বিধবাবিবাহ প্রচলনের জন্য আন্দোলন শুরু করেন। এই কাজ করতে গিয়ে তাঁর বহু শত্রু সৃষ্টি হয়েছিল। রক্ষণশীল হিন্দুসমাজে তাঁকে নানাভাবে অপদস্থ করতে চেষ্টা করেছিল। এমনকি তাঁর প্রাণহানিরও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল।

কিন্তু কোনো বাধাই ঈশ্বরচন্দ্রকে তাঁর সাধনা থেকে সরিয়ে আনতে পারেনি। সংস্কৃত সাহিত্যের পণ্ডিত বিদ্যাসাগর হিন্দুশাস্ত্র বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেন যে, হিন্দুধর্মের বিধবাবিবাহ স্বীকৃত।

পরাশর সংহিতার একটি শ্লোক বিশ্লেষণ করে তিনি দেখেন যে, স্বামী নিরুদ্দেশ হলে, মারা গেলে, পুরুষত্বহীন হলে, সংসারধর্ম ত্যাগ করলে কিংবা পতিত হলে স্ত্রীগণ পুনরায় বিবাহ করিতে পারেন। বিধবাবিবাহের সমর্থনে তিনি ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকার দীর্ঘ প্রবন্ধ রচনা করেন।

নষ্টে, মৃতে, প্রপজ্যিতে

ক্লীৰে চ প্ৰতিতে পতৌ;

পঞ্চাপৎ সু নারীনাং

গতিরণো বিধায়তে।

-পরাশর সংহিতা

ব্যক্তিগত উদ্যোগে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিনি এক হাজার স্বাক্ষর সম্বলিত একটি আবেদনপত্র সরকারের নিকট জমা দেন (১৮৫৫ খ্রিঃ)। বাংলা, বোম্বাই, মাদ্রাজ, নাগপুর প্রভৃতি অঞ্চলেও বিধবাবিবাহ সমর্থন করে বহু দরখাস্ত সরকারের দপ্তরে জমা পড়ে। বিদ্যাসাগর রক্ষণশীল সমাজের ভ্রান্ত ব্যাখ্যাকে নস্যাৎ করে দিয়ে দৃপ্ত ভাষায় ঘোষণা করেন, “দেশাচার শাস্ত্রের মস্তকের উপর পদস্থাপন করিয়াছে। ধর্মের মর্মস্থলকে বিদ্ধ করিয়াছে, লুপ্ত করিয়াছে ন্যায়-অন্যায় বিচারবোধ।”

শেষ পর্যন্ত ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে বিধবাবিবাহ বিধিবদ্ধ করে সরকার আইন জারি করেন। ওই বছরই বিদ্যাসাগরের প্রেরণা ও ব্যবস্থাপনায় কলকাতায় সর্বপ্রথম বিধবাবিবাহ অনুষ্ঠিত হয় (৭ ই ডিসেম্বর)। তাঁর চেষ্টায় পরবর্তী দশ বছরের মধ্যে পঁচিশটি বিধবার পুনর্বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল।

তবে বিধবাবিবাহ আইনানুগ হলেও এর ব্যাপক প্রচলন সম্ভব হয়নি। এই বিফলতার কয়েকটি প্রধান কারণ হল-

(১) অশিক্ষার দরুন সাধারণ মানুষ এমনকি নারীরাও এই প্রথার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারেননি।

(২) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ও ভুমিকেন্দ্রিক সমাজব্যবস্থায় সম্পত্তিতে পুরুষের একচেটিয়া প্রাধান্য থাকার ফলে পুরুষশাসিত সমাজ এই ব্যবস্থাকে বরণ করেনি।

(৩) সংস্কার আইনগুলি কেবলমাত্র শহুরে শ্রেণির মধ্যেই প্রচারিত হয়েছিল। গ্রামীণ দরিদ্রশ্রেণি এইসব আইন সম্বন্ধে অন্ধকারে ছিল। অবশ্য সাময়িক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ঈশ্বরচন্দ্র এই আইন প্রবর্তন করে নারীজাতিকে একটি দীর্ঘকালীন অভিশাপ থেকে মুক্ত হবার পথ দেখিয়ে দিয়েছেন।


অন্যান্য সামাজিক সংস্কারঃ


বিধবাবিবাহের ন্যায় শিশুবিবাহ এবং বহুবিবাহ বন্ধ করার জন্য ঈশ্বরচন্দ্র আন্দোলন করেন। সামাজিক অভিশাপস্বরূপ এইসব কুপ্রথা বন্ধ করার জন্য তিনি জনমত গঠন করতে উদ্যোগী হন। এই কাজে এগিয়ে আসার জন্য তিনি সরকারের কাছে বারবার আবেদন করেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রবন্ধ রচনা করে তিনি প্রমাণ করেন যে, সনাতন হিন্দুধর্মে এবং শাস্ত্রে এইসব প্রথার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। শাস্ত্রের ভ্রান্ত ব্যাখ্যা থেকেই এইসব জঘন্য প্রথা চালু হয়েছে। সফল না হলেও জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যান।


বাংলা ভাষার আধুনিকীকরণঃ


আধুনিক বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্রের ভূমিকা স্মরণীয়। নিজে রচনাবলীর মধ্যেও তিনি আধুনিক বাংলা গদ্যরীতির বিবর্তনে পথিকৃতের কাজ করেন। ইতিপূর্বে বাংলাভাষা ছিল সম্পূর্ণভাবে সংস্কৃত ভাষা প্রভাবিত। অলংকারবহুল বাংলা ভাষা স্বভাবতই ছিল জটিল এবং অবোধ্য।

বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষাকে যথাসম্ভব সংস্কৃত-প্রভাবমুক্ত করে স্বাতন্ত্র্য দান করতে প্রয়াসী হন। তিনি নতুন ছন্দে বাংলা গদ্য রচনা করে বাংলা ভাষাকে অনেক বেশি সহজ ও সরল করে দেন। এরই উপর ভিত্তি করে পরবর্তী কালে আধুনিক বাংলা ভাষার বিবর্তন ঘটেছে।

গদ্যরচনায় ‘ছেদ’ চিহ্নের প্রয়োগ তাঁর অনন্য কীর্তি। সেই সঙ্গে পদবিন্যাস দ্বারা বাংলা রচনাকে সাবলীল করে দেন।

মহামানব ঈশ্বরচন্দ্র তাঁর মানবতাবাদ, কপটতাবর্জিত ব্যবহার, দীনদরিদ্র ও নির্যাতিতদের জন্য অপার করুণা, সরল ও অনাড়ম্বর জীবনযাত্রা এবং ন্যায় ও সত্যের জন্য দ্বিধাহীন সংগ্রামের প্রতিমূর্তি রূপে ভারতবাসীর হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। প্রাচ্য সংস্কৃতিকে পাশ্চাত্যের আলোকে পুনরালোকিত করার জন্যই অমলেশ ত্রিপাঠী তাঁকে বলেছেনঃ “A traditional moderniser.”

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area