Ads Area


Mental Health: মানসিক স্বাস্থ্য- অপসঙ্গতি সমস্যা মানসিক বিকার কারণ ও প্রতিকার

Mental Health: Problems of Maladjustment, Minor Mental disorders their causes and precautions. (মানসিক স্বাস্থ্য: অপসঙ্গতি সমস্যা, মানসিক বিকার- কারণ ও প্রতিকার।)


Mental Health: মানসিক স্বাস্থ্য- অপসঙ্গতি সমস্যা মানসিক বিকার কারণ ও প্রতিকার


Mental Health: Problems of Maladjustment, Minor Mental disorders their causes and precautions. মানসিক স্বাস্থ্য: অপসঙ্গতি সমস্যা, মানসিক বিকার- কারণ ও প্রতিকার- আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি মানসিক স্বাস্থ্য: অপসঙ্গতি সমস্যা, মানসিক বিকার- কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে মূল আলোচনা।

মানসিক স্বাস্থ্য


মানসিক স্বাস্থ্য: শারীরিক মানসিক এই দুটি শব্দ অঙ্গাঙ্গিভাবে পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পন্ন ব্যক্তি তাকেই বলা হবে- যিনি উচ্চ চিন্তা সম্পূর্ণ আয়ত্তে এনে দুঃখে এবং সাফল্যে অতিমাত্রায় হতাশ বা পুলকিত হন না। সৎ চিন্তা, সৎ ভাবনা, যার মধ্যে বিদ্যমান। এইরূপ স্বাস্থ্য সম্পন্ন ব্যক্তির স্বাস্থ্যকে মানসিক স্বাস্থ্য বলে।


গুণ: আমরা সহজে দলবদ্ধভাবে বাস করি। একে অপরের সঙ্গে বহু রকমের পার্থক্য রয়েছে। কেউ হয়ত সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, কেই হয়ত রোগা, কেউ মোটা। সুন্দর, কুৎসিৎ সম্পর্কে চিন্তাধারাও ভিন্ন হতে পারে। সুতরাং সকলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুস্থ মানসিকতার পরিচায়ক মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। যে কোনও পরিস্থিতিতে নিজের ভারসাম্য যে ঠিক রাখতে পারবে সে-ই সুস্থ মানসিক স্বাস্থ্যের অধিকারী।



মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণ সমূহ



i. স্বাস্থ্যবান মনের অধিকারী ব্যক্তি স্ব-পরিতৃপ্ত, সূচী, শান্ত, আনন্দপূর্ণ হয়।

ii. যে কোনও পরিস্থিতির মধ্যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে। সহজে বিপর্যস্ত হয় না, অপরের মানসিকতার সু-বিবেচনা করে সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে।

iii. সকল প্রকার সুস্বাস্থ্যের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণে সমর্থ বুদ্ধিমত্তার সাথে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে।

iv. এছাড়া মানসিক সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী ব্যক্তির পরিকল্পনাগুলি সৃষ্টিমূলক ও সু-পরিকল্পিত হয়।


উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, যে ব্যক্তি নিজের চাহিদা পরিবেশের মধ্যে সাফল্যের সঙ্গে বিধান করতে পারে, সে-ই মানসিক দিক থেকে সুস্থ বলে পরিগণিত হয়। আর ব্যক্তির মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য যে অভিযোজন প্রক্রিয়া কাজ করে তা-ই মানসিক স্বাস্থ্য। মানসিক স্বাস্থ্য চাহিদার পরিতৃপ্তির বৈশিষ্ট্যগুলি নিচে আলোচনা করা হল-

i. উপযুক্ত অনুরাগ ও মনোভাবের বিকাশ।

ii. পরিপূর্ণ আত্মতুষ্টি।

iii. প্রয়োজনীয় প্রাক্ষোভিক ও সামাজিক বিকাশ।

iv. পরিপূর্ণ আত্মবিশ্বাস।

v. পরিবেশ অভিযোজন ক্ষমতা। নিজের চাহিদা সম্পর্কে সচেতনতা এবং সেই অনুযায়ী কাজ করার ক্ষমতা।


সঙ্গতি বিধানের প্রক্রিয়া অনুযায়ী মানুষ তিন শ্রেণিতে বিভক্ত যথা-

1. স্বাভাবিক মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ।

2. অস্বাভাবিক মানুষ।

3. অনুস্বাভাবিক মানুষ।



1. স্বাভাবিক মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ (Normal):

যারা পরিপূর্ণভাবে পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গতি বিধান করতে পারে, তাদের বলা হয় স্বাভাবিক মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ।

2. অস্বাভাবিক মানুষ (Abnormal):

যে সব ব্যক্তি পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গতি বিধানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ, তাদের বলা হয় অস্বাভাবিক মানুষ।

3. অনুস্বাভাবিক মানুষ (Sub-normal):

যে সব ব্যক্তি আংশিকভাবে পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গতি বিধান করে, তাদের বলা হয় অনুস্বাভাবিক মানুষ।



অপসঙ্গতি এবং কারণ, সচেতনতা ও সমাধান



অপসঙ্গতি: কোনও কারণে ব্যক্তির প্রাথমিক চাহিদা পরিতৃপ্ত না হলে তার মধ্যে প্রক্ষোভমূলক অসমাঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয় ও মানসিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এই মানসিক দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ ব্যক্তির আচরণের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। সে নানা ধরনের অসামাজিক বা অসামঞ্জস্যতাপূর্ণ আচরণ করে, একেই অপসঙ্গতি বলে।



অপসঙ্গতির কারণ:


i. আক্রমণাত্মক মনোভাব: এইরকম মনোভাবের দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে কোনও ব্যক্তি অনেক সময় অপসঙ্গতিমূলক কাজ করে। স্বাভাবিক প্রবণতা ও নানাবিধ বিরূপ অভিজ্ঞতা অর্জনের দরুণ ব্যক্তির মধ্যে আক্রমণাত্মক মনোভাবের সৃষ্টি হয়। আক্রমণাত্মক মনোভাবের অসামাজিক রূপ সম্পর্কে ব্যক্তিটি অত্যন্ত সচেতন থাকায় সে তার দমনের চেষ্টা করে। এতে তার দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। তখন সে অপসঙ্গতিমূলক আচরণ করে।

ii. নিরাপত্তার অভাববোধ: নিরাপত্তার অভাববোধ থেকেও অনেক সময় অপসঙ্গতিযুক্ত আচরণের জন্ম হয়। কোনও বিশেষ চাহিদাকে পূর্ণ করতে গিয়ে ব্যক্তি যদি বাধা পায় ও তার মধ্যে যদি এই ধারণার সৃষ্টি হয় সে আশে-পাশের বিভিন্ন ব্যক্তিরা বা পরিবেশ তার চাহিদা পূরণ করার পক্ষে বাধা সৃষ্টি করছে তখন এই ধরনের অভাববোধ জন্মে। এর কবলে পড়ে ব্যক্তি নানারকম অসামঞ্জস্যবোধক আচরণ করে থাকে। বাবা, মা, শিক্ষকগণ যদি শিশুর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেন তখন তার মধ্যে মানসিক অসাম্য দেখা যায়।

iii. মানসিক দ্বন্দ্ব: মনোবিদদের মতে মানসিক দ্বন্দ্ব হল অপসঙ্গতির প্রধান কারণ। ব্যক্তিদের মধ্যে পরস্পর বিরোধী মানসিক ইচ্ছা সৃষ্টির জন্য দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ব্যক্তির মনের স্বাভাবিক ইচ্ছার সঙ্গে বা সামাজিক নিয়ন্ত্রণের বিরোধের জন্য দ্বন্দ্বের উৎপত্তি হয়। এই মানসিক দ্বন্দ্বের সুষ্ঠুভাবে মীমাংসা করতে না পারার ফলে অপসঙ্গতিমূলক আচরণ পরিলক্ষিত হয়।

iv. অপরাধমূলক অনুভূতি: অপরাধমূলক অনুভূতি অনেক সময় অপসঙ্গতিমূলক আচরণ সৃষ্টির ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। সত্য কথা না বলা ইত্যাদি অপরাধমূলক আচরণের ফলস্বরূপ। যা সামাজিক মূল্য হিসেবে নিন্দার যোগ্য।

v. অন্যান্য আচরণ: উপরিউক্ত কারণগুলি ছাড়াও কিছু কিছু সাধারণ কারণে মানুষের মধ্যে অপসঙ্গতিমূলক আচরণের সৃষ্টি হয়। যথা- অস্বাস্থ্যকর গৃহ পরিবেশ, বিদ্যালয়ের বিষয়বস্তুকেন্দ্রিক পাঠক্রম, বিভিন্নরকম বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হওয়া ব্যক্তিগত পারদর্শিতা প্রকাশ করার সুযোগ না পাওয়া, ব্যক্তির প্রতি সমাজের স্বীকৃতির অভাব, পিতা মাতার মধ্যে অপসঙ্গতি, নানা রকম দৈহিক ব্যাধি ইত্যাদি।




অপসঙ্গতি সম্পর্কে সচেতনতা



মানসিকভাবে কোনও দ্বন্দ্ব দেখা দিলে অধিকাংশ ব্যক্তিই তার সমাধানের জন্য কার্যকরী পদ্মা অবলম্বন করে থাকে। কিন্তু কিছু ব্যক্তিকে দেখা যায় যে তারা এই ব্যাপারে অসামাজিক ও অবাঞ্ছিত পথ অবলম্বন করার প্রয়াস পায়। এই প্রকার ব্যক্তিরা তাদের মানসিক দ্বন্দ্বের সমাধানে সাধারণত ব্যর্থই হয়ে থাকে। এদেরই মানসিকভাবে অসমাঞ্জস্য ব্যক্তি বলা যেতে পারে। ব্যক্তির দেহগত ত্রুটি বিচ্যুতি, মানসিক ত্রুটি, দীর্ঘকাল রোগ ভোগ, আর্থিক অসুবিধা, সমাজ বা পরিবারের অবহেলা, ঈর্ষা পরায়ণতা, হতাশা ইত্যাদি থেকেই ব্যক্তির মধ্যে এরুপ মানসিক অসামঞ্জস্য ঘটে থাকে। নিচে এরকম কয়েকটি অসামঞ্জস্যতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

i. শৈশব অভিজ্ঞতা: শিশুর ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি হল শৈশবের অভিজ্ঞতা। শৈশবকালে সংঘটিত কোনও প্রক্ষোভমূলক অভিজ্ঞতা পরবর্তীকালে তার জীবনের বা আচরণের উপর প্রভাব ফেলে। শিশুদের মধ্যে যদি কোনও অপসঙ্গতিমূলক আচরণ পরিলক্ষিত হয় তবে তার পেছনে যে অবচেতন মনের ধারণা কাজ করে সে বিষয়ে সচেতনতা জরুরী। যেমন কোনও শিশুদের কোনও সমস্যামূলক আচরণ দূর করার জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তার পেছনে যে অবচেতন মনের জটিল ভাবজট তা টেনে খুলতে হবে।

ii. বিপরীত ধর্মী শক্তি: মানুষের মনে দুটি শক্তি কাজ করে, প্রথমটি ভালোবাসার শক্তি এবং দ্বিতীয়টি ধ্বংসের শক্তি। একটি অন্ধ, বিবেকহীন, নগ্ন কামনার প্রতীক (Id) এবং অপরটি বিবেচনাযুক্ত বাস্তবমুখী সত্তা অহম্ (Ego)। এদের মধ্যকার বিরোধ প্রধানত শিক্ষার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলা সম্ভব।

iii. যৌনশক্তির বিকাশ: যৌনশক্তির বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের আচরণ করে। এইসব আচরণকে দমন করার চেষ্টা করলে ফল ভালো হয় না। এই সকল আচরণের মূল তাৎপর্য উপলব্ধি করে তার যৌন জীবনের বিকাশে সহায়তা করা উচিত। তাই বর্তমানে মনোবিদরা বিদ্যালয়ে যৌনশিক্ষার ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন।

iv. ব্যক্তির দোষ ত্রুটি: কিছু কিছু ব্যক্তির মধ্যে বিশেষ কোনও এক বিষয়ের মধ্যে দোষ খুঁজে বার করা, সবরকম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচরণ করা, যে কোনও সিদ্ধান্তের অবমাননা করা প্রভৃতিতে নেতিবাচক অপসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়। এই ধরনের মনোভাব দূর করতে হলে ক্রমবর্ধমান আত্মপ্রতিষ্ঠা ও স্বাধীনতার চাহিদা এবং ওইসব চাহিদার পরিতৃপ্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

v. ব্যক্তির ভীরুতা: ভীরুতার জন্য অনেক সময় ব্যক্তিকে চুপচাপ, শান্ত ও সংকুচিত মনের হতে দেখা যায়। একেও এক ধরনের অপসঙ্গতিমূলক আচরণ বলা যায়। পরিবেশের সংস্পর্শে থেকে সার্থকভাবে সঙ্গতিবিধান করতে না পারার জন্য তারা পরিবেশ থেকে নিজেদের পৃথক করে রাখে এবং কর্মে উদ্যম হারিয়ে ফেলে। অতিরিক্ত শাসনের কারণেও এটা ঘটতে পারে। স্বাভাবিক করে তুলতে হলে এদের কাজের মধ্যে বিশেষভাবে সাহায্য করতে হবে ও এদের আত্মবিশ্বাস প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দিতে হবে।

vi. কাজের ফাঁকি: যে কোনও কাজ তথা খেলাধুলায় ফাঁকি দেওয়াও একপ্রকার অপসঙ্গতিমূলক আচরণ। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা সবরকম কাজ থেকে দূরে সরে থাকতে চায়, এই ধরনের অপসঙ্গতি দূর করতে হলে তার কারণগুলি দূর করতে হবে। যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে এবং কাজের মধ্য দিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। মিথ্যা কথা বলার আচরণকে দূরে সরিয়ে প্রকৃত সত্য খুঁজে বার করতে হবে। প্রাথমিকভাবে যে কোনও ব্যক্তির সাথে খোলামেলা কথা বললে অপসঙ্গতি দূর হয়।

vii. চুরি করা: চুরি করাও অপসঙ্গতিমূলক আচরণ। মানুষ কিছু চাহিদার জন্য চুরি করে। এই চুরি করা বিশেষ চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব হয় না। তবে অপসঙ্গতিমূলক চুরি, মানসিক চাহিদা মিটলে দূর হয়।

viii. যৌন শিক্ষা: কৈশোরে নতুন যৌন চেতনা আসার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীর যৌন কৌতূহল মেটাতে না পারলে অনেক সময় বিকৃত আচরণের প্রবণতা আসে। এই অপরাধ প্রবণতা দূর করার জন্য যৌন শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সকল প্রকার অপসঙ্গতিমূলক আচরণ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। কারণ সকল অপসঙ্গতিমূলক আচরণই ব্যক্তি সত্তার সুস্থ বিকাশের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়, এতে সমূহ বিপদের সম্ভাবনা থাকে।




অপসঙ্গতিমূলক আচরণের সমাধান



অপসঙ্গতি দূর করতে হলে প্রকৃত কারণ জানতে হবে। তা না হলে অপসঙ্গতি দূর করা যাবে না। সাধারণত দুটি স্তরে কাজ করতে হবে, প্রথমত অপসঙ্গতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, দ্বিতীয়ত এই সমস্ত তথ্যের প্রকৃত কার্য নির্ণয় করতে হবে। ব্যক্তির পরিস্থিতির উপর পর্যবেক্ষণ করতে হবে, খোলামেলা সাক্ষাৎকার নিতে হবে। শান্ত পরিবেশে মনের ভাব প্রকাশ করতে দিতে হবে, ইত্যাদি। অপসঙ্গতি দূর করার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে। কৌতূহল পূরণ করতে হবে, সামাজিক নিরাপত্তার অভাব দূর করতে হবে। কতগুলি সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। তবে অপসঙ্গতিমূলক আচরণ দূর হবে। যথা-

1. প্রথমত: পরিবারে বা বিদ্যালয়ের সভ্য বা শিশুদের অসামঞ্জস্যতা দূরীকরণের জন্য পিতা-মাতা অভিভাবক অথবা শিক্ষকগণকে উপযুক্ত শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে, যাতে তারা এরূপ অসামঞ্জস্যতা দূরীকরণে সমর্থ হয়।

2. দ্বিতীয়ত: অসামঞ্জস্য ব্যক্তিদের উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য যোগ্য চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকেন্দ্রের বিশেষ প্রয়োজন। যাতে তারা উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ পায়।

3. তৃতীয়ত: শিশু বয়স থেকেই পরিবার বা সমাজে শিশু যাতে জনসামাজিক পরিবেশে মানুষ হয়, কুসংস্রব থেকে দূর থাকে; শিশুদের প্রয়োজনীয় আগ্রহ, কামনা, বাসনা, যাতে সাধারণ ও স্বাভাবিক হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। এছাড়া মানসিক ঈর্ষাবোধ, প্রতিহিংসাবোধ তাদের মধ্যে না জাগে সেই বিষয়ে অভিভাবক ও পিতামাতাকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

4. চতুর্থত: শিশু বয়স থেকে যাতে শিশুদের মধ্যে নিরাপত্তা বোধের অভাব না থাকে পিতামাতা, অভিভাবক, পরিবারের অন্যদের এবং শিক্ষকদের স্নেহ-প্রীতি ও ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত না হয়। তা লক্ষ্য রাখতে হবে।

5. পঞ্চমত: শৈশবের ইচ্ছা ও চাহিদাগুলি সাধ্যমতো সমাজ অনুমোদিত পথে পূরণের চেষ্টা করতে হবে যাতে তাদের মধ্যে ব্যর্থতা বোধ দেখা না দেয়। যুক্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে সকল প্রকার হতাশা, পরাজয়ের গ্লানি তাদের মধ্য থেকে দূর করতে হবে। শৈশবকাল থেকেই বাস্তবতার সঙ্গে তাদের পরিচয় ঘটাতে হবে, তারা যাতে অলীক কল্পনার জগতে বিচরণ না করে সেদিকে অভিভাবক ও শিক্ষকদের দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে হবে। তাদের সংকল্পে দৃঢ় ও সৎ অভ্যাস গঠনে সাহায্য করতে হবে।


মন্তব্য:

স্থায়ীভাবে অপসঙ্গতিমূলক আচরণ গড়ে ওঠে না, ক্ষেত্র বিশেষে গড়ে ওঠে। যেমন- মানসিক বিকারগ্রস্তদের অপসঙ্গতিমূলক আচরণ দেখা গেলে চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করতে হবে। শিশুদের অপসঙ্গতি দূর করার জন্য চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে। যে কোনও ব্যক্তিকে জীবনযাপনের উপযুক্ত করে গড়ে তুললেই অপসঙ্গতি দূর হয়। আমাদের সকলকেই এগিয়ে এসে অপসঙ্গতিমূলক আচরণকারীর সুস্থ মানসিক বিকাশে সাহায্য করতে হবে।




Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area