Ads Area


10 তম এর পর কোন কোর্স ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে ভালো

10 তম এর পর কোন কোর্স ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে ভালো

10 তম এর পর কোন কোর্স ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে ভালো


10 তম এর পর কোন কোর্স ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে ভালো- শুধুমাত্র প্রথাগত পড়াশুনা করলেই, যে গাড়ি-ঘোড়া  চড়া যাবে, এরকম ধারনার পরিবর্তন অনেকদিন আগেই ঘটে গিয়েছে। মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার পর রুটিন মাফিক বিজ্ঞান, কলা বা বাণিজ্য, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় পড়া ছাড়াও করে নেওয়া যেতে পারে এরকম একাধিক ভিন্ন ধরনের কোর্স। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে তুলে ধরা হলো এরকম কিছু কোর্সের খোঁজখবর-

1. কমার্সিয়াল ডাইভিং কোর্স


মাধ্যমিকের পর ডাইভিং সংক্রান্ত একাধিক কোর্স রয়েছে শিখে রাখার জন্য। ছোটবেলা থেকেই অনেকের সাঁতার-এর  উপর প্রশিক্ষণ থাকে। পড়াশুনার পাশাপাশি শরীরচর্চা, স্পোর্টস হিসাবে সাঁতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এটিকেই পরবর্তীকালে পেশাতেও কাজে লাগানো যেতে পারে। আন্ডার ওয়াটার ডাইভিং ওয়ার্ক, লাইফ-সেভিং  অপারেশনের কাজ, ওয়াটার স্পোর্টস রিলেটেড ওয়ার্ক-এর  সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য করা যেতে পারে ডাইভিং উপর কোর্স। কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকার, যুব কল্যাণ এবং স্পোর্টস দপ্তর অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে “সী এক্সপ্লোরারস ইনস্টিটিউট” প্রয়োজনে দেখে নিতে পারেন http://www.seiindia.org/ওয়েবসাইটটিও।

2. এনার্জি এডুকেশন


যতদিন যাচ্ছে ততো অচিরাচরিত শক্তির ব্যবহারিক প্রয়োজনীয়তা  বা গুরুত্ব কয়েকগুণ হারে বেড়ে চলেছে। গত কয়েক দশকে বিভিন্ন সংস্থা থেকে বা সরকারি উদ্যোগেও এই সমস্ত অচিরাচরিত শক্তি নিয়ে প্রচুর কাজ বা প্রোজেক্ট হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে সোলার এনার্জি নিয়ে। সোলার এনার্জি সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার উদ্যোগে একাধিক রাজ্যে সোলার এনার্জি সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট, ইমপ্লিমেন্টেশনের কাজ চলছে।

ফটোভোলটিক মডিউল বা সৌর এনার্জির অন্যান্য সহযোগী যন্ত্রাংশ নিয়ে কাজ হয়ে থাকে। এই বিষয় নিয়ে মাধমিক এবং আইটিআই যোগ্যতায় সার্টিফিকেট বা ডিপ্লোমা কোর্স করে নেওয়া যায়। কলকাতায় রয়েছে ইনস্টিটিউট অব সোলার টেকনোলজি। পশ্চিমবঙ্গে অচিরাচরিত শক্তি নিয়ে কাজ করছে  “West Bengal Renewable Energy Development Agency”। মাধ্যমিকের সাথে আইটিআই কোর্স করলে এই ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায় এবং অ্যাডভাসন্ড কোর্স করা যেতে পারে।

3. ফ্রুট অ্যান্ড ভেজিটেবল প্রিসার্ভেশন সার্টিফিকেট কোর্স


গ্রামীণ এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের  ছোটবেলা থেকেই চাষ-আবাদ , ফল-মূল, সবজি প্রস্তুতিকরণ, সংরক্ষণ এই সমস্ত বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান থাকে। মাধ্যমিক যোগ্যতাতেই এই বিষয় ট্রেনিং নিয়ে এগোতে পারলে ভালোভাবে স্ব-নির্ভর  হওয়ার সুযোগ থাকে। সরকারি উদ্যোগে কলকাতাতেই রয়েছে ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবিলস প্রিসার্ভেশন কাম কমিউনিটি কানিং সেন্টার। পারিবারি সূত্রে বা স্ব-উদ্যোগে চাষ-আবাদ বা সবজি, ফল নিয়ে ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকলে এই ধরনের ট্রেনিং নেওয়া থাকলে ভালো সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। হুগলিতে রয়েছে- NETAJI SUBHAS TRAINING INSTITUTE OF AGRICULTURAL MARKETING, Training Institute of West Bengal State Marketing Board Sasmal para Baidyabati Hooghly 712222 Tel No -2632-1710 /2529 & Fax No- 2632-2529।


4. ল্যাদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার কোর্স


মাধ্যমিক স্তরে পড়াশুনার করার পর এই কাজের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্যেও লেদার টেকনোলজি বা ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং-এর  উপর কোর্স করে নেওয়ার যথেষ্ট সুবিধা রয়েছে। কলকাতার সল্টলেকে রয়েছে গভর্মেন্ট কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এবং লেদার টেকনোলজির মতো প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে লেদার গুডস এবং সু মেকিং- উপর দুই বছরের জন্য সু অ্যান্ড লেদার গুডস মেকিং-র উপর অ্যাডভাসন্ড সার্টিফিকেট কোর্স করানো হয়।

ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এডুকেশন-র অনুমোদিত এই কোর্স। এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য একটি প্রবেশিকা পরীক্ষা দেওয়া হতে পারে। প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগের ঠিকানা – Government College of Engineering & Leather Technology, LB-Block, Sector –III, Salt Lake, Kolkata -700098 / http://www.gcelt.gov.in/ এই সমস্ত কোর্স করে রাখার পরে পরবর্তীকালে একাধিক সু বা লেদার গুডস মেকিং আউটসোর্সিং প্রচুর ছোট- বড় আউটসোর্সিং কোম্পানিগুলিতে কাজের সুযোগ থাকে। সার্টিফিকেট কোর্স করে নিলে পরে অ্যাডভাসন্ড ডিপ্লোমা বা ডিপ্লোমা কোর্স উচ্চমাধ্যমিক যোগ্যতার পর করার জন্য বাড়তি সুবিধা দেয়।

5. টেলারিং কোর্স


নিজেকে স্বনির্ভর হিসাবে গড়ে তোলার জন্য এবং হাতের কাজ শেখার লক্ষে টেলারিং কোর্স বহুদিন থেকেই প্রচলিত এবং কার্যকরী। বিশেষত ছাত্রীদের জন্য এই কোর্স খুবই উপযোগী নিজেদেরকে স্বনির্ভর হিসাবে গড়ে তোলার জন্য। টেলারিং-র  উপর পড়াশুনা বা বলা যেতে পারে ট্রেনিং নেওয়া থাকলে এই ধরনের কাজে আরও পেশাদার হতে সুবিধা হবে। 

কলকাতায় টেলারিং নিয়ে পড়াশুনা করা যেতে পারে Government Tailoring Institute, Address: P-12, New CIT Road, Deb Lane, Entally, Kolkata, West Bengal 700014,  033-22848134 এখান থেকে দুই বছরের ডিপ্লোমা বা এক বছরের অ্যাডভাসন্ড ডিপ্লোমা কোর্স করা যেতে পারে। পুরুষ এবং মহিলা প্রার্থী ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়স  প্রার্থীরাই এই কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। এছাড়া বেসরকারি উদো্যগেও অনেক জায়গায় টেলারিং-এর উপর সার্টিফিকেট কোর্স করানো হয়ে থাকে।




I.T.I কোর্স ITI এর কোর্স গুলি ২ অথবা ১ বছরের জন্য হয়।
মাধ্যমিক পাস্ করলেই ITI পড়া যায়। গভর্নমেন্ট এবং প্রাইভেট যেকোনো ইনস্টিটিউটেই পড়ানো হয় ITI, আসলে পড়ানোর সাথে হাতেকলমে প্রশিক্ষণই এই কোর্সের চাহিদা বাড়িয়েছে। ভেবে দেখো বাড়িতে, অফিসে যেকোনো মুহূর্তে আমাদের টেকনিশিয়ানেরই দরকার সবচেয়ে বেশি। ভালো দক্ষ ইলেক্ট্রিশিয়ান থেকে কলের মিস্ত্রি, ছুতোর থেকে বাড়ির কম্পিউটার টিভি সারানোর লোক, পেন্টার থেকে ফায়ারম্যানদের চাহিদা সবসময় থাকে সর্বত্র। তাই সরকারি থেকে বেসরকারি অফিসে যেমন চাকরি সম্ভব তেমনই নিজস্ব উদ্যোগে যেকোনো সার্ভিস দেবার ব্যবসা পর্যন্ত করা যায় ITI পাস করে।

পশ্চিমবঙ্গে আই টি আই এর যে কোর্স গুলি পড়ানো হয়, তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল-


  • কম্পিউটার অপারেটর এবং প্রোগ্রামিং আসিস্ট্যান্ট
  • সিভিল ড্রাফটসম্যান এবং মেকানিক্যাল ড্রাফটসম্যান
  • কার্পেন্ট্রি
  • কর্পোরেট হাউস কিপিং প্লাস্টিক প্রসেসিং অপারেটর মোটর সাইকেল মেকান
  • কম্পিউটার হার্ডওয়্যার অপারেটর
  • বেকারি এবং কনফেকশনারি
  • ওয়েল্ডার প্লাম্বার
  • ফাউন্ডরী ম্যান
  • ফিটার ইত্যাদি


প্যারামেডিকেল মাধ্যমিক পাস্ করে প্যারামেডিকেল কোর্স কিছু কিছু করা যায়। তার মধ্যে দু ধরণের কোর্স হয়। একটা সার্টিফিকেট কোর্স, আর দ্বিতীয়টা হলো ডিপ্লোমা কোর্স। কিন্তু কোর্সগুলো স্বল্পমেয়াদি হওয়ায় এগুলির বাজারগত মূল্য খুবই কম। তাই ভালো প্যারামেডিকেল কোর্স করতে গেলে উচ্চমাধ্যমিক পাস্ হওয়া আবশ্যিক।

অল্প সময়ে যে কোর্সগুলি করতে পারো, সেগুলি নিচে দেওয়া হল-

অনেকেরই এই ভাবনা থাকে যে আগে গ্র্যাজুয়েশন শেষ হোক তারপরে আয়ের কথা ভাবা যাবে নয়তো পড়ার ক্ষতি হবে।এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়, রিসার্চ নিয়ে এগোনো বা উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণ ই যদি লক্ষ্য হয় তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু যদি গ্র্যাজুয়েশনের পর চাকরি করাই উদ্দেশ্য হয় তবে তার প্রচেষ্টা আগে থেকেই নয় কেন ? পড়ার সাথে সাথে অন্য কিছু শেখা বা টাকা রোজগারের জন্য কোনো কাজ করা পড়ার ক্ষতি তো করেই না বরং একঘেয়েমি কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করে, বাইরের পৃথিবীর বাস্তবতা বুঝতে ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলতেও সাহায্য করে।



কম্পিউটার ভিত্তিক কোর্স:


ডি টি পি (DTP):

ডিটিপি এর অর্থ হল ডেস্কটপ পাবলিশিং। যেখানে ডিটিপি অপারেটর, কোনো আর্টিস্ট বা শিল্পীর আঁকা ছবিকে ডিজিটাল রূপ দেয় যাতে তা কম্পিউটারে প্রিন্ট করা যায় এবং অনলাইনে আপলোড করা যায়, অর্থাৎ কোনো ছবির হার্ডকপি থেকে সফটকপি বানানোর পদ্ধতি হল ডিটিপি। ডিটিপি অপারেটরের ডিজাইনিং কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে জ্ঞান থাকা আবশ্যিক, যেমন adob css ইত্যাদি। ডিটিপি অপারেটররা সাধারণত কাজ করে অ্যাডভার্টাইসমেন্ট এজেন্সীতে, প্রিন্টিং এবং পাবলিশিং সেক্টরে।

ট্যালি (TALLY):

ট্যালি হল- একটা অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার যা যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে সমস্ত ধরণের হিসেবনিকেশ করে থাকে, এবং কোম্পানির ক্রয় (purchase), বিক্রয় (sale), ম্যানুফ্যাকচারিং, ফিনান্স এর সমস্ত তথ্য এবং হিসেব রাখে। দৈনন্দিন প্রতিটা ট্রানসাকশান ট্যালি সার্ভারেই আপলোড করা হয়ে থাকে। তাই ট্যালি ছোট থেকে বড় যেকোনো কোম্পানিতে কাজে লাগে, কিন্তু এটাও সত্যি ট্যালি শুধু এক্সট্রা স্কিল হিসেবে কাজে লাগতে পারে।কিন্তু লংটার্মে শুধু মাত্র এই কাজে উন্নতির বিশেষ সুবিধা নেই।


গ্রাফিক্স (graphics):

গ্রাফিক্স হল আসলে ডিজাইন বা কিছু দৃশ্যমান ছবি যা বিভিন্ন জিনিসের উপর বানানো হয়, যেমন কখনো তা ক্যানভাসে, কখনো দেয়ালে, কখনো কাগজে, বা কখনো কম্পিউটার স্ক্রিনে। বেশিরভাগ সময়ই এই ছবি কোনো বিশেষ অর্থ বহন করে, আবার নির্ভেজাল আনন্দ দান বা পোস্টার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area